পাপাচারের শাস্তি থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার ক্ষেত্রে নিম্ন বর্ণিত ১০ টি উপায় উল্লেখ করা হলো * (১) তাওবা করা* আল্লাহ বলেন, “আপনি বলুন! হে আমার বান্দারা, যারা পাপে লিপ্ত হয়ে নিজের নফসের উপর যুলুম করেছো, তোমরা আল্লাহর করুনা থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয় আল্লাহ সমস্ত পাপ মার্জনা করেন। নিশ্চয় তিনি অতিব ক্ষমাশীল ও পরম করুণাময়। (যুমার: ৫৩) (২) *ইস্তেগফার বা ক্ষমা প্রার্থনা।* নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “বান্দা যখন কোন গুনাহ করে, তখন সে যদি বলে হে আমার পালনকর্তা! আমি তো অপরাধ করে ফেলেছি, আমাকে ক্ষমা করে দাও। তখন আল্লাহ বলেন, আমার বান্দা জেনেছে যে তার পালনকর্তা অপরাধ মার্জনা করেন এবং শাস্তিও দিয়ে থাকেন। আমি তাকে ক্ষমা করে দিলাম। (বুখারী ও মুসলিম) * (৩) পাপমোচনকারী নেক আমল সমূহ।* আল্লাহ বলেন, “দিবসের দুই প্রান্তে সালাত কায়েম কর। এবং রাতের কিছু সময়। নিশ্চয় নেক আমল সমূহ গুনাহগুলোকে মিটিয়ে দেয়”। (হূদ: ১১৪) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘দান-সাদকা পাপ মিটিয়ে দেয়, যেমন পানি আগুনকে নিভিয়ে দেয়। আর হিংসা সৎকর্মগুলো খেয়ে ফেলে, যেমন আগুন কাঠ পুড়িয়ে ফেলে’। (তিরমিযী) * (৪) শাস্তি প্রতিহতকারী বিষয়।* যেমন: মুমিনদের দুয়া। যেমন, জানাযায় মৃত মুমিনের জন্য দুয়া। ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি একথা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি। “কোন মুসলিম মৃত্যু বরণ করলে তার জানাযায় যদি এমন ৪০ জন লোক অংশগ্রহণ করে, যারা আল্লাহর সাথে কোন কিছুকে শরিক করেনি। তবে তাকে ক্ষমা করার জন্য তাদের আবেদন আল্লাহ গ্রহণ করবেন। (মুসলিম) * (৫) মৃত্যের জন্য জীবিতদের পক্ষ থেকে কিছু নেক আমল।* যেমন, দান-সাদকা, হজ্জ,উমরা.. ইত্যাদি। * (৬) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শাফায়াত।* কিয়ামত দিবসে নবীজী গুনাহগারদের জন্য শুপারিশ করবেন। যেমনটি মুতাওয়াতের হাদীছে প্রমাণ আছে। যেমন তিনি বলেছেন, “আমার উম্মতের কাবীরা গুনাহগারদের জন্য থাকবে কিয়ামত দিবসে আমার শাফায়াত। (আবু দাউদ, শায়খ আলবানী হাদীছটিকে সহীহ বলেছেন।) তবে তারা শিরক মুক্ত ঈমানের অধিকারী হতে হবে। * (৭) দুনিয়ায় বিভিন্ন বালা-মুসীবতে পতিত হওয়া।* রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “মু’মিন যখন কোন ক্লান্তি, অসুস্থতা, চিন্তা ও শোকে পতিত হয়, কষ্ট ও দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়, এমনকি তার পায়ে কাঁটা বিঁধে, তখন বিনিময়ে আল্লাহ্ তার গুনাহ মোচন করেন।” (বুখারী ও মুসলিম) * (৮) কবরের ফেতনা।* অর্থাৎ কবরের চাপ, প্রশ্নোত্তর এবং সেখানে ভয়ভীতির মাধ্যমে মুমিন বান্দার গুনাহ মাফ হবে। * (৯) কিয়ামত দিবসের ভয়াবহতা।* এ দিনের ভয়াবহতা, কষ্ট এবং ক্লান্তি মুমিন বান্দার গুনাহ মাফ হওয়ার কারণ। * (১০) আল্লাহর দয়া এবং বিনা কারণেই বান্দাদেরকে তাঁর মাগফিরাত ও ক্ষমা।* (মাজমূ ফাতাওয়া- ইবনে তাইমিয়া (রহ.) ৭/৭৮৭-৫০১)
আ ক ম আজাদ আস্ক প্রশ্ন ডটকমের সাথে আছেন সমন্বয়ক হিসাবে। বর্তমানে তিনি একজন শিক্ষক। আস্ক প্রশ্ন ডটকমকে বাছাই করে নিয়েছেন জ্ঞান আহরণ ও জ্ঞান বিতরণের মাধ্যম হিসাবে। ভবিষ্যতে একজন বক্তা ও লেখক হওয়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছেন। এই আশা পূর্ণতা পেতে সকলের নিকট দু'আপার্থী।