গণকদের কিছু কথা কখনো সত্যের সাথে মিলে যেতে পারে। কিন্তু সেটি শয়তানের চুপিসারে শ্রুত কথা মাত্র। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘ফেরেশতাগণ মেঘমালার উপরে অবতরণ করেন এবং আকাশে (আল্লাহর) নির্ধারিত বিধান আলোচনা করেন। তখন শয়তানেরা চুরি করে তা শোনার চেষ্টা করে এবং তার কিছু শুনেও ফেলে। এরপর তারা তা গণকের কাছে পৌঁছে দেয়। অতঃপর সেই শোনা কথার সাথে তারা নিজেদের পক্ষ থেকে শত মিথ্যা মিলিয়ে (মানুষের কাছে) বলে’ (বুখারী হা/৩২১০; মিশকাত হা/৪৫৯৪; ছহীহুল জামে‘ হা/১৯৫৫) । অন্য বর্ণনায় এসেছে, আল্লাহ তা‘আলা যখন আকাশে কোন ফায়ছালা করেন। অতঃপর তা নিয়ে ফেরেশতাগণের আলাপ করেন, তখন শয়তান চুরি করে তার কিছু কিছু শ্রবণ করে এবং প্রথমজন তার নীচের জনকে এবং সে তার নীচের জনকে জানিয়ে দেয়। এমনিভাবে এ খবর দুনিয়ার জাদুকর ও জ্যোতিষীদের কাছে পৌঁছে যায়। অতঃপর তারা তাতে শত মিথ্যা মিশিয়ে মানুষের কাছে বলে। এরপর লোকেরা বলাবলি করে যে, সে কি অমুক দিন অমুক অমুক কথা আমাদের বলেনি? অতঃপর আসমান থেকে শ্রুত কথাগুলি সত্য হয়ে যায় (বুখারী হা/৪৮০০; মিশকাত হা/৪৬০০) । কিন্তু এগুলোতে বিশ্বাস করা যাবে না। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি গণকের কাছে যায় এবং তাকে কোন কথা জিজ্ঞেস করে, তার ৪০ দিনের ছালাত কবুল হয় না’ (মুসলিম হা/২২৩০; মিশকাত হা/৪৫৯৫) । তিনি আরও বলেন, ‘যে ব্যক্তি গণকের কাছে গেল এবং সে যা বলে তা বিশ্বাস করল, ঐ ব্যক্তি মুহাম্মদ-এর প্রতি যা অবর্তীর্ণ হয়েছে, তার সাথে কুফরী করল’ (আবুদাঊদ হা/৩৯০৪; মিশকাত হা/৪৫৯৯) ।
আ ক ম আজাদ আস্ক প্রশ্ন ডটকমের সাথে আছেন সমন্বয়ক হিসাবে। বর্তমানে তিনি একজন শিক্ষক। আস্ক প্রশ্ন ডটকমকে বাছাই করে নিয়েছেন জ্ঞান আহরণ ও জ্ঞান বিতরণের মাধ্যম হিসাবে। ভবিষ্যতে একজন বক্তা ও লেখক হওয়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছেন। এই আশা পূর্ণতা পেতে সকলের নিকট দু'আপার্থী।