হস্তমৈথুন ছেলে ও মেয়ে সকলের জন্যই হারাম ।
ইমাম শাফেয়ী কুরআনের এই আয়াতের মাধ্যমে একে হারাম বলেছেন ।
• এবং যারা নিজেদের যৌনাঙ্গকে সংযত রাখে। তবে তাদের স্ত্রী ও মালিকানাভুক্ত দাসীদের ক্ষেত্রে সংযত না রাখলে তারা তিরস্কৃত হবে না। অতঃপর কেউ এদেরকে ছাড়া অন্যকে কামনা করলে তারা সীমালংঘনকারী হবে। (সূরা মুমিনুন ৫-৭)
উক্ত আয়াতে নিজ স্ত্রী ও দাসী ব্যতীত সকল প্রকার অবৈধ যৌনাচারণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে যার মধ্যে হস্তমৈথুনও অন্তর্ভুক্ত । আর যে এটাকে অমান্য করবে সে সীমা লঙ্ঘনকারী ।
• যারা বিবাহে সামর্থ নয়, তারা যেন সংযম অবলম্বন করে যে পর্যন্ত না আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে অভাবমুক্ত করে দেন। ( সূরা নুর ৩৩)
এখানে যারা বিবাহে সমর্থ নয় তাদের ধৈর্য্য ধারণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।
হাদীস হতে আমরা পাই ,
# আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা) বলেন , আমরা যুবক বয়সে নবী (সা) এর সাথে ছিলাম ; অথচ আমাদের কোন কিছু (সম্পদ ) ছিল না । এমনি অবস্থায় আমাদেরকে রাসূলুল্লাহ ( সা) বলেন , হে যুব সম্প্রদায় ! তোমাদের মধ্যে যারা বিয়ে করার সামর্থ্য রাখে , তারা যেন বিয়ে করে । কেননা, বিয়ে তার দৃষ্টিকে সংযত রাখে ও যৌনতাকে সংযমী করে এবং যাদের শাদী করার সামর্থ্য নেই , সে যেন রোযা পালন করে । কেননা , রোযা তার যৌনতাকে দমন করবে ।
(বুখারী ৪৬৯৬ ইফা)
সুতরাং বিয়ে করার সামর্থ্য না রাখে তাদের সংযম করা ছাড়া কোন পথ নেই । এটাই ঈমানের পরীক্ষা । হস্তমৈথুনের বিষয়টিতো শরীয়ত সুনিশ্চিত নিষিদ্ধ করেছে। আর জমহুর ফুক্বাহারা এটাকে না জায়েজ বলেছেন। কিন্তু যেখানে তীব্র প্রয়োজন হয়, সেখানে এটাকে জায়েজ ও বলেছেন। আব্দুর রশীদ তাহের বুখারী রহঃ লিখেন- "এ কর্মটি [হস্তমৈথুন] রমযান ছাড়া অন্য সময়ে [রমযানের মতই] হালাল হবে না, যদি মনের কুপ্রবৃত্তির জন্য এমনটি করে। তবে যদি উন্মদনার প্রাবল্যতা কমাতে এমনটি করে তাহলে আশা করা যায় কোন শাস্তি হবে না।" (খুলাসাতুল ফাতওয়া-১/২৬)
" মুমিনদেরকে বলুন , তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গর হেফাযত করে । এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে । নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন । (৩০)
ঈমানদার নারীদেরকে বলুন , তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে । তারা যেন যা সাধারণত প্রকাশমান , তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী , পিতা , শ্বশুর , পুত্র , স্বামীর পুত্র , ভ্রাতা , ভ্রাতুস্পুত্র , ভগ্নিপুত্র , স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী , যৌনকামনামুক্ত পুরুষ , ও বালক , যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ , তাদের ব্যতীত কারো আছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে , তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে । মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর , যাতে তোমরা সফলকাম হও । "(৩১)
(সুরা আন-নুর , আয়াত ঃ ৩০-৩১)