সামহয়্যারইন ব্লগে এস. এম. ওমর হাবিব লিখেছেন, " একজন চিকিৎসকই কেবল সঠিকভাবে বলতে পারবেন একজন মেয়ের স্বতিচ্ছদ বা Hymen ফেটে গেছে কিনা৷ ''
" তবে কিছু লক্ষণ থেকে আপনি অনুমান করতে পারেন সতীচ্ছদ সত্যিকার অর্থেই ফেটে গেছে নাকি এখনো বিদ্যমান রয়েছে৷''
যে লক্ষণগুলো তিনি বর্ণনা করেছেন, যার কয়েকটি উল্লেখ করা হলো –
১. দুই পা ফাঁক করে বসে আঙুলের সাহায্যে ভগাঙ্কুরের ভাজ দুটিকে দুই দিকে সরিয়ে ধরুন এবং ছোট একটি আয়না যোনির সামনে রেখে লক্ষ্য করুন রিং আকারের পাতলা একটি পর্দা দেখতে পান কিনা? যদি দেখা যায়, তবে বুঝবেন আপনার সতীচ্ছদ এখনো ঠিক আছে৷
২. সতীচ্ছদ ছিড়ে যাবার সময় (সাধারণত) রক্তপাত হয় এবং সামান্য ব্যথা-যন্ত্রণা অনুভূত হয় এবং তা থেকেই জানতে পারবেন আপনার সতীচ্ছদ কবে ফেটেছিল৷
তিনি আরো লিখেছেন, " মেয়েদের সতীচ্ছদ শারীরিক মিলন অথবা সাঁতার, শরীরচর্চা, খেলাধুলা ইত্যাদি থেকে ফেটে যেতে পারে৷ হাইমেনোপ্লাস্টি সাধারণত জাতিগত, সাংস্কৃতিক বা ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে করা হয়ে থাকে, যার মধ্যে দিয়ে ‘সতীচ্ছদ নারী সতীত্বের প্রমাণ' – এমন একটা ধারণা কারণ হিসেবে নিহিত থাকে৷ হাইমেনোপ্লাস্টি দ্বারা ছিদ্রহীন সতীচ্ছদের ওপরও অস্ত্রপ্রচার হয়ে থাকে৷ "
এরপর সতীচ্ছদ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় তুলে ধরেছেন তিনি৷
লিখেছেন, সতীচ্ছদ সম্পর্কিত বাস্তব বিষয়গুলি হলো –
১. প্রতি ১০০০ হাজার মেয়ে শিশুর একজন সতীচ্ছদ ছাড়াই ভূমিষ্ঠ হয়৷
২. শতকরা ৪৪ শতাংশ নারীরই প্রথমবার মিলনে কোনো প্রকার রক্তপাত হয় না৷
৩. খেলাধুলা কিংবা অন্য কোনো কারণে প্রাকৃতিক ভাবেই সতীচ্ছদ ফেটে যেতে পারে৷
৪. মাসিক রজঃস্রাবের সময় সতীচ্ছদে অবস্থিত ছিদ্র রক্ত প্রবাহকে স্বাভাবিক রাখতে প্রাকৃতিক ভাবেই বড় হয়ে যায়৷
৫. ‘টেমপন' ব্যবহারের ফলে সতীচ্ছদ ছিড়ে যেতে পারে৷
৬. সতীচ্ছদ ফাটলেই রক্তক্ষরণ হবে – এটি ভুল ধারণা৷ রক্তক্ষরণ ছাড়াও সতীচ্ছদ চিরে যেতে পারে৷
সংগ্রহ ঃ dw