আস্ক প্রশ্নে আপনাকে স্বাগতম ! এটি একটি প্রশ্নোত্তর ভিত্তিক কমিউনিটি। এই সাইট সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন ...
195 বার প্রদর্শিত
"প্রোগ্রামিং" বিভাগে করেছেন (3,509 পয়েন্ট) 106 1059 1111

1 উত্তর

0 পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন (1,496 পয়েন্ট) 14 32 43
বহু প্রোগ্রামারকে তার কাজের সময় জিজ্ঞাসা করে জানা গেছে, 

তারা হয় ভোর চারটা পর্যন্ত কাজ করে ঘুমাতে যান, নাহয় ভোর চারটায় উঠে কাজ শুরু করেন। কিন্তু রাতে কাজ করার বিশেষত্ত্ব কী? কেন তারা এত রাত জেগে কাজ করেন, সে বিষয়টিই উঠে এসেছে বিজনেস ইনসাইডারের লেখায়। দীর্ঘক্ষণ মনোযোগ দেয়ার সুযোগ কম্পিউটার প্রোগ্রামার পল গ্রাহাম এ বিষয়ে লিখেছেন, প্রোগ্রামারদের অনেকক্ষণ ধরে একমনে কাজ করতে হয়। এ সময় কেউ সামান্য সময় বিরক্ত করলেও তা অনেক বেশি সময়ের কাজ নষ্ট করে। এটা অনেকটা দামি কাঁচ দিয়ে কিছু একটা সাজানোর মতো। যখন কেউ বিরক্ত করে তখন তা হাজার খণ্ডে বিভক্ত হয়ে যায়। এ কারণে কাজের সময় বিরক্ত করলে প্রোগ্রামাররা অনেক বেশি বিরক্তিবোধ করে।

 

পল জানান, এমন ধরনের মানসিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে তারা কমপক্ষে দুই ঘণ্টার নিরবচ্ছিন্ন সময় না পেলে কাজ শুরু করতে পারেন না। একটা সম্পূর্ণ মডেল মাথায় ধারণ করার আধঘণ্টার মধ্যে তার পুরোটা ভণ্ডুল করে ফেলা নিঃসন্দেহে অপচয়।

 

কয়েকজন প্রোগ্রামার জানিয়েছেন, তারা দিনে কাজ শুরু করতেই পারেন না। কারণ ক্রমাগত কাজে বাধা, অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাজ ও গুরুত্বপূর্ণ ই-মেইলের উত্তর দিতে গিয়ে প্রোগ্রামারের কাজ করা সম্ভব হয় না। এ কারণেই সবাই যখন ঘুমিয়ে থাকে তখন প্রোগ্রামাররা কাজ শুরু করে।
  
ঘুমন্ত মস্তিষ্ক
চিকিৎসাশাস্ত্র মতে প্রোগ্রামারদেরও রাতে ঘুমানো উচিত। কারণ প্রোগ্রামারদের অতিমানবীয় ক্ষমতা নেই। আর তারাও রাতের তুলনায় দিনে বেশি সতর্ক থাকতে সক্ষম। তাহলে কী কারণে মস্তিষ্ক যখন ঘুমাতে চায় তখন তারা শুরু করেন কাজ আর কাজ?

 

এর কারণ হিসেবে জানা গেছে, ক্লান্ত মস্তিষ্ক কোডিংয়ের কাজে ভালো।

 

বলমার পিক নামে একটি গ্রাফের সাহায্যে বিষয়টির ব্যাখ্যা করা যায়। ক্লান্ত হয়ে গেলে অনেকগুলো বিষয়ে মনোযোগ দেওয়ার ক্ষমতা কমে যায় মস্তিষ্কের। ফলে যে কোনো একটি বিষয়ে মনোনিবেশ করা যায়।

 

অনেকেরই ধারণা হতে পারে, অনেক এনার্জি নিয়ে দ্রুত কাজ শেষ করা যাবে। কিন্তু এ সময় নির্দিষ্ট কোনোদিকে মনযোগের বদলে অনেকগুলো দিকে মনোযোগ চলে যায়।

 

এর বদলে, যখন কেউ সামান্য ক্লান্ত থাকে তখন অন্য বিষয়গুলোতে মনোযোগ কমে যায়। ফলে কোনো একটি বিষয়ে মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করা সহজ হয়। এ সময় ফেসবুক ও টুইটারের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর কথা অনেকের মনেই থাকেনা।

 

যখন আপনার মস্তিষ্ক সম্পূর্ণ ক্ষমতা নিয়ে কাজ করে না তখন এটা কিছু একটা করার চেষ্টা করে। ফলে যে কোনো একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ থাকলে সেটা করা সম্ভব হয়।

 

উজ্জ্বল মনিটর
এ বিষয়টা অনেকটা সাধারণ। অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিবেশে একটি উজ্জ্বল মনিটরের দিকে তাকিয়ে কাজ করায় শরীরের ঘুম চক্রে দেরি হয়।  এ কারণে সাধারণত ভোর তিনটা পর্যন্ত ক্লান্তিবোধ হয় না। এর পরদিন আবার একই রুটিন ধরে কাজ শুরু করলে স্বভাবতই তাতে অভ্যস্ত হয়ে যায় শরীর।

 

সময়ের বাধ্যবাধকতা না থাকা
এছাড়া আরেকটা বিষয় প্রোগ্রামাররা জানিয়েছেন, তা হচ্ছে কোনো সময়ের বাধ্যবাধকতা না থাকা। রাতে কাজ করায় অনেকেরই কাজ শেষ করার জন্য কোনো নির্দিষ্ট সময়সূচী থাকে না। ফলে এতে কিছুটা নিশ্চিন্তে কাজ করা যায়।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

1 উত্তর
18 অক্টোবর 2018 "প্রোগ্রামিং" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন রঞ্জন কুমার বর্মণ (2,313 পয়েন্ট) 9 33 41
1 উত্তর
24 জুলাই 2018 "প্রোগ্রামিং" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন R.A.rupu SR(pl) (3,509 পয়েন্ট) 106 1059 1111
1 উত্তর
1 উত্তর
06 অক্টোবর 2020 "অভিযোগ এবং অনুরোধ" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Sakib79 (98 পয়েন্ট) 1 5 10
1 উত্তর
18 জুলাই 2018 "অ্যান্ড্রয়েড" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন R.A.rupu SR(pl) (3,509 পয়েন্ট) 106 1059 1111

28,156 টি প্রশ্ন

29,682 টি উত্তর

3,147 টি মন্তব্য

3,939 জন সদস্য



আস্ক প্রশ্ন এমন একটি প্ল্যাটফর্ম, যেখানে কমিউনিটির এই প্ল্যাটফর্মের সদস্যের মাধ্যমে আপনার প্রশ্নের উত্তর বা সমস্যার সমাধান পেতে পারেন এবং আপনি অন্য জনের প্রশ্নের উত্তর বা সমস্যার সমাধান দিতে পারবেন। মূলত এটি বাংলা ভাষাভাষীদের জন্য একটি প্রশ্নোত্তর ভিত্তিক কমিউনিটি। বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার পাশাপাশি অনলাইনে উন্মুক্ত তথ্যভান্ডার গড়ে তোলা আমাদের লক্ষ্য।

  1. SA Sujon

    50 পয়েন্ট

    0 উত্তর

    0 প্রশ্ন

শীর্ষ বিশেষ সদস্য

...