ইংল্যান্ডের নর্থহামব্রিয়া ইউনিভার্সিটির মনোবিজ্ঞানী ড. তামসিন স্যাক্সটন জানান, কারো প্রতি ভালোলাগা থেকেই তার প্রতি আকর্ষণ তীব্রতর হতে থাকে। যার যার মূল্যবোধের ভিত্তিতে জীবনসঙ্গী হিসাবে কাউকে গ্রহণযোগ্য মনে হয়।
২০০৮ সালে আইসল্যান্ডের এক বিশেষজ্ঞের গবেষণায় বলা হয়, বিভিন্নভাবে প্রমাণ হয়েছে যে, আত্মীয়-স্বজনের প্রেমে পড়ার বিষয়টি জটিল কিছু নয়। পুরুষরা এমন সঙ্গিনী খোঁজেন যার মা আকর্ষণীয়া। আবার নারীদের ক্ষেত্রে একই বিষয় সত্য। অর্থাৎ তারা এমন পুরুষ সঙ্গী খোঁজের যার বাবা আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বসম্পন্ন। এ পদ্ধতিকে বলা হয় 'পজিটিভ ইম্পেয়ারিং'। এ ছাড়া বিজ্ঞানীরা মনে করেন, দূর সম্পর্কের আত্মীয়ের মধ্যে বিয়ে হলে স্বাস্থ্যকর সন্তান জন্মদান সম্ভব।
আবার নেগেটিভ ইম্পেয়ারিংয়ের ক্ষেত্রে ঘটে যায় 'ওয়েস্টারমার্ক ইফেক্ট'। এ ক্ষেত্রে মানুষ তার অতি পরিচিত কাছের মানুষটির প্রতিই আকর্ষণবোধ করেন। তখন অন্য কাউকে আর ভালো লাগে না।
মনোবিজ্ঞানী জুডিথ ওয়েনব্যান-স্মিথ বলেন, যে সকল মানুষের শৈশবটি ভালো যায়নি তাদের আকর্ষণবোধ বা যৌন আকাঙ্ক্ষাবোধের ক্ষেত্রে নানা অস্বস্তি দেখা দিতে পারে। তবে এটা কোনো রোগ নয়। আত্মীয়ের মাঝে কারো প্রতি ভালোলাগা থেকে এ অবস্থা বের হওয়ার পথ খুঁজে পায় মানুষ।
তবে দুঃসংবাদটি হলো, আত্মীয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের মানসিক বিষয়টি শক্তিশালী আবেগের ওপর গড়ে ওঠে। ভুল হলে ক্ষতির মাত্রাও দ্বিগুণ হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে দুজন কেবলমাত্র সমাজের কাছেই প্রত্যাখ্যাত হয় না, বরং এ ধরনের অন্যান্য সম্পর্ককেও ধ্বংস করে।
সূত্র : ইনডিপেনডেন্ট