হিন্দু ধর্ম গ্রন্থে জৈনতা সম্পর্কে অনেক আলোচনা এসেছে, কেননা তারা জৈনতাকে প্রাধান্য দেয় অনেক ক্ষেত্রে নিচে বিভিন্ন জায়গা থেকে আনা হিন্দু ধর্মের জৈনতা সম্পর্কে আলোচনা করা হল “পুরাকালে গন্ধর্ব কিন্নর এবং মনুষ্যগণের রূপবতী যুবতী স্ত্রীদের সর্বত্র দেখে মন্ত্রের দ্বারা তাদের আকর্ষণ করে অতি দূরে নির্জনে তপস্যার ছলে তাদের সঙ্গে সঙ্গত হওয়ার উদ্দেশ্যে অতি মনোরম কুটির নির্মাণ করে তাদের সঙ্গে মদনজয়ী শিব ক্রীড়া করেছিলেন।” বামাগণের মধ্যবর্তী মদনদেব প্রভাবিত সুন্দরীগণের সঙ্গে ক্রীড়ারত শিবকে দেখে পার্বতী ঐ নারীকূলকে চণ্ডাল হওয়ার অভিশাপ দিয়েছিলেন। লিঙ্গপুরাণে বর্ণিত বৃত্তান্তে দারুবনে তপোরত মুনিদের পরীক্ষা করতে শিব নগ্ন অবস্থায় দারুবনে মুনিপত্নীদের চিত্তবিভ্রব ঘটাতে থাকেন, “নারীবৃন্দকে দেখে ভগবান শিব মদনোদ্ভূত হাস্য, ভ্রুতঙ্গী ও সুন্দরভাবে মুহুর্মুহু হাস্য করতে লাগলেন- অত্যন্ত সুন্দরাক্রিতি তিনি এইভাবে কামব্রিদ্ধি করতে লাগলেন, বিকৃত বেশা নীললোহিত পুরুষকে বনের মধ্যে দেখে পতিব্রতা হয়েও নারীগণ সাদরে তাকে অনুসরণ করতে লাগলেন।” [লিঙ্গ পুরাণ ১৯/১০-১২] শিবপুরাণেও একই ধরণের ঘটনা মেলে, “একদিন শিব ঋষিদের কোনোরূপ পরীক্ষা করার জন্য গায়ে ছাই-ভস্ম মেখে নগ্ন হয়ে,বনের মধ্যে প্রবেশ করলেন ,বিকৃত মনোবৃত্তি নিয়ে হাতে নিজ লিঙ্গ ধরে ঋষির পত্নীদের মোহিত করতে লাগলেন। কোনো কোনো ঋষি পত্নী ব্যাকুল হয়ে শিবের সামনে উপস্থিত হলেন। কেউ কেউ শিবের হাত ধরে তাকে জড়িয়ে ধরলেন।” [শিবপুরাণ, জ্ঞানসংহিতা, ৪২ তম অধ্যায়] বামনপুরাণেও, “মহাদেব মুনিগণের তপোলব্ধ জ্ঞান পরীক্ষা করতে সুন্দর যৌবন শোভিত দেহ নিয়ে ভিক্ষাপাত্র, নরক কপাল হাতে মুনিপত্নীদের দ্বারে দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা করে বেড়াতে থাকেন-তিনি মুনিপত্নীদের চিত্তবিভ্রম ঘটাতে থাকেন,মুনিপত্নীও আমাদের মহৎ কৌতুক উপস্থিত হয়েছে বলে মহাদেবের সঙ্গে রঙ্গরসে প্রবৃত্ত হন। সেই নারীগণ করপল্লবের দ্বারা শিবকে ধারণ করেন, কেউ বাহুদ্বারা আকর্ষণ করতে থাকেন, কেউ কামপরবশ হয়ে জানুদ্বয়,কেউ নাভি,কেউ কেশ,কেউ কটীবদ্ধ,অন্যে পদদ্বয়ে আকর্ষণ করতে থাকেন।” নারদ পঞ্চরাত্রে (২২ অধ্যায়) ছদ্মবেশী মহাদেব কর্তৃক পার্বতীকে শাখা পরানোর কাহিনী আছে। ছদ্মবেশী শিব জগন্মাতার হাতে শাখা পরিয়ে মূল্য হিসাবে প্রার্থনা করলেন- “আমি তোমার সাহচর্যে কামবানে পীড়িত,আমাকে শীঘ্র বরণ কর, আমি অন্য কোন মূল্য চাই না।” পদ্মপুরাণে ( সৃষ্টিখন্ডে) পার্বতী নিজেই মহাদেবকে লম্পট বলে গালি দেন। তিনি তপস্যা করতে যাওয়ার সময় গণাধিপতি বীরককে স্বামীর পাহাড়ায় নিযুক্ত করে বলেছিলেন। ” এষ স্ত্রী লম্পটো দেবো যাতায়াং ময্যস্তরম। দ্বাররক্ষা ত্বয়া কার্য্যা নিত্যরুন্ধ্র্যান্ববেক্ষিণা।। [ পদ্মপুরাণ, সৃষ্টিখন্ড ৪৪/৩০] শিবপুরাণেও দেবী তপস্যায় গমণের সময় সখীকে স্বামীর প্রহরায় নিযুক্ত করে বলেছিলেন- “এই লম্পটকে রক্ষা করবে যাতে আমার জাহ্নবীপ্রিয় পতি অন্য নারীকে প্রবেশ করিয়ে উপভোগ করতে না পারে।” [শিবপুরাণ, ধর্ম সংহিতা ১০/৩৪] এগুলি যদি কোন ধর্মে থাকে তাহলে সেটা কেমন ধর্ম ৷