WooCommerce এর মূল সুবিধাগুলো হচ্ছে-
যেকোনো জিনিষ যেকোনো জায়গা থেকে বিক্রয় করা যায়ঃ
WooCommercee দিয়ে আপনি যেকোনো অনলাইনে বিক্রয় করতে পারবেন। চাই তা ডিজিটাল হোক অথবা বস্তুগত কোনও জিনিসই হোক না কেন। যেকোনো আকৃতি এবং বৈচিত্র্যের জিনিষ আপনি এখানে তুলে ধরতে পারবেন। ডিজিটাল পন্য আপনার গ্রাহকরা ইচ্ছামত কাস্টমাইজ ও সরাসরি ডাউনলোড করে নিতে পারবে। এমনকি আপনি চাইলে অন্য ওয়েবসাইট থেকে এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমেও পণ্য বিক্রি করতে পারবেন।
প্রিমিয়াম এক্সটেনশন ব্যবহার করে আপনি বুকিং, মেম্বারশিপ এবং আবর্তিত সাবস্ক্রিপশনও প্রস্তাব করতে পারবেন। হতে পারে আপনি আপনার দোকান থেকে কিছুটা কমমুল্যে পণ্য কিনার জন্য মাসিক সাবক্রিপশনের ব্যবস্থা করলেন অথবা কোন একটা ডিজিটাল পণ্য ডাউনলোড করার ব্যপারে কিছুটা ছাড় দিলেন। এ সব কিছুই সম্ভব।
যেকোনো জায়গায় শিপ করুনঃ
ফ্রি শিপিং নির্দিষ্ট মুল্যে শিপিং, অথবা সময়োপযোগী হিসাব নিকাশের প্রস্তাবনা করতে পারেন। কিছু নির্দিষ্ট দেশের জন্য শিপমেন্ট নির্দিষ্ট করে দিতে পারেন অথবা সারা বিশ্বের জন্য আপনার দোকানটিকে উন্মুক্ত করে দিতে পারেন। WooCommerce এ খুব সহজেই শিপমেন্টের ধরন পরিবর্তন ও সমন্বয় করে নেয়া যায়। এমনকি এটা দিয়ে ড্রপ-শিপিং করাও সম্ভব।
অর্থ প্রদানের অনেকগুলো বিকল্প ব্যবস্থাঃ
অর্থ প্রদান করার অনেকগুলো বিকল্প ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যেমন, ভিসা, পেপাল, মাস্টারকার্ড আমেরিকান এক্সপ্রেস। এছারাও আরও অনেক গুলো বিকল্প ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যা দিয়ে অনলাইনে কেনাকাটা করা সম্ভব।
সর্বজনীনতাঃ
WooCommerce এর উপর ভিত্তি করে অনেক প্রিমিয়াম ও ফ্রি থিম ও প্লাগিন তৈরি করা হয়েছে। এছারাও এটা ওপেনসোর্স হওয়ার ফলে প্রতিদিনই কোনও কোন ফিচার যুক্ত হচ্ছে। কোনও নিরাপত্তা ত্রুটি দেখা দেয়ার সাথে সাথেই বিশ্বব্যপী নিরাপত্তা হালনাগাদ পরিচালনা করা হয়। তাই এটা নিরাপদে ব্যবহার করা সম্ভব।
এটা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ব্যবহার করা সম্ভবঃ
সম্পূর্ণ ফ্রি হওয়ায় এই প্লাগিনটি ব্যবহার করতে আপনার এক পয়সাও খরচ হবে না। ওয়ার্ডপ্রেস প্রোগ্রামিং সম্পর্কে অভিজ্ঞ হলে নিজে নিজেই এসব থিম ও প্লাগিন পছন্দমত সাজিয়ে নিতে পারবেন। কিন্তু আপনি যদি অন্যান্য আনুষঙ্গিক ফিচারসমূহ ব্যবহার করতে চান বা উ-কমার্সের কোনও প্রিমিয়াম থিম কিনতে চান তাহলে, তা খুব অল্প দামেই কিনতে পারবেন। এনভেটো মার্কেটে এ সম্পর্কিত অসংখ্য থিম ও প্লাগিন উপলব্ধ আছে।