আস্ক প্রশ্নে আপনাকে স্বাগতম ! এটি একটি প্রশ্নোত্তর ভিত্তিক কমিউনিটি। এই সাইট সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন ...
480 বার প্রদর্শিত
"স্বপ্নের ব্যাখ্যা ও নামের অর্থ" বিভাগে করেছেন (44 পয়েন্ট) 161 588 602

1 উত্তর

0 পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন (2,796 পয়েন্ট) 162 422 438



ঘুমের সময় ছাড়া মানুষ কখনো কল্পনা/ভাবনা ছাড়া থাকতে পারে পারেনা। জাগ্রত অবস্থায় মানুষের মস্তিষ্কে প্রতিদিন, প্রতিটি মুহুর্তে ক্রমানুসারে/এলোমেলোভাবে কল্পনা/ভাবনা ঘুরপাক খেতে থাকে । সাধারণত: আমরা নিজেরা যে বিষয়ের উপর অধিক চিন্তা করি, যে ভাবনায় অধিক ব্যস্ত থাকি, সারাদিনের সেই চিন্তা-ভাবনাগুলোর বহি:প্রকাশই হলো স্বপ্ন / দুঃস্বপ্ন।


বৈজ্ঞানিক যুক্তিতে মানুষ স্বপ্ন দেখে REM (র‍্যাপিড আই মুভমেন্ট) এর ফলে। ঘুমানো অবস্থায় এক পর্যায়ে আমাদের চোখের কৃষ্ণগহবর এত দ্রুতগতিতে নাড়াচাড়া করে যে ওই ঘর্ষণের ফলে আমাদের মস্তিষ্কে আলোকচিত্রের মতো ছবি ফুটে উঠে। অনেকটা “মুভি প্রজেক্টর” যেভাবে কাজ করে, ওরকমই ব্যাপারটা। আপনারা ভাবছেন যে, মুভি প্রজেক্টরে তো অনেকগুলো ছবির নেগেটিভ থাকে? তাহলে এই নেগেটিভ কোথা থেকে আসে?



ছবির নেগেটিভ আসে আমাদের মস্তিষ্ক থেকে। চিন্তা করেই দেখেন, একদিনে আপনি আপনার চোখ দিয়ে কত দৃশ্য দেখেন। অবশ্যই হিসাব নেই। আপনার হিসাব না থাকুক, আর ভুলেই বা যান অনেক দৃশ্য, কিন্তু মস্তিষ্কে সবই রেকর্ড হয়ে থাকে। আর সেই রেকর্ডেড ইমেজ থেকেই সৃষ্টি হয় স্বপ্নের নেগেটিভ পিকচারস। দুঃস্বপ্ন। কম বেশি সবাই দেখে। স্বপ্নের যদি একটা ক্লাসরুম থাকত, তাহলে দুঃস্বপ্ন হত ওই ক্লাসের সবচেয়ে অজনপ্রিয় ছাত্র। কুখ্যাতও বলতে পারেন। দুঃস্বপ্ন মানুষকে কাঁদায়, চিৎকার দেওয়ায়, ঘুম হারাম করে দেয় ইত্যাদি। আমি বলতে চাচ্ছি যে, এই কোনো ভাল চরিত্র নাই। শুধুই খারাপ চরিত্রে ভর্তি। দুঃস্বপ্ন ইঙ্গিত দেয় কিছু হারানোর, কোনো দুর্ঘটনার, কোনো অজানা অস্থিরতার। তাৎপর্য ঠিকই আছে। এবং মানুষ দুঃস্বপ্নের তাৎপর্যে বেশি বিশ্বাসী, ভালো স্বপ্নের চেয়ে। স্বপ্নের মতোই দুঃস্বপ্নও একইভাবে সৃষ্টি হয়, REM এর ফলে। চলুন জেনে আসি দুঃস্বপ্নের ব্যাপারে কিছু আকর্ষণীয় তথ্যঃ

১। ভয়ের কারণে নয় বরং দোষ, ক্রোধ, জীবনে বিশৃঙ্খলার ফলেই মানুষ বেশি দুঃস্বপ্ন দেখে এবং ভয়মুলক দুঃস্বপ্নের চেয়ে এইসব দুঃস্বপ্নে মানুষ বেশি কষ্টভোগ করে।


২। হেলথ সেন্ট্রালের মতামত অনুসারে ৫-৬ শতাংশ মানুষ দুঃস্বপ্নের ফলে এত ভয় পায় যে তারা ঘুমানোর চেয়ে না ঘুমানোর পথ বেছে নেয়। যে রোগ “ইনসোমনিয়া” নামে পরিচিত।


৩। দুঃস্বপ্নের একটি প্রচলিত ঘটনা হচ্ছে দৈহিক আক্রমন।


৪। কার্নেগী মেলন ইউনিভার্সিটি আবিষ্কার করে যে, প্লেনে চড়ামূলক স্বপ্ন দেখে আগামীতে কোথাও যাত্রার প্ল্যান থেকে থাকলে অধিকাংশ মানুষ সেই প্ল্যান স্থগিত করাটাই মঙ্গলীয় মনে করেন।


৫। যারা রাত জাগে তাদের দুঃস্বপ্ন দেখার সম্ভাবনা বেশি।


৬। ঘুমানো অবস্থায় খুব গরম অনুভব করলে অথবা গরম আবহাওয়া সৃষ্টি হলে মানুষ দুঃস্বপ্ন দেখে। কারণ গরম মানুষকে সংগ্রামী মনোভাবে প্ররোচিত করে।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

1 উত্তর
04 জুলাই 2018 "স্বপ্নের ব্যাখ্যা ও নামের অর্থ" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Sirazul islam (2,723 পয়েন্ট) 104 700 745
1 উত্তর

28,156 টি প্রশ্ন

29,682 টি উত্তর

3,147 টি মন্তব্য

3,946 জন সদস্য



আস্ক প্রশ্ন এমন একটি প্ল্যাটফর্ম, যেখানে কমিউনিটির এই প্ল্যাটফর্মের সদস্যের মাধ্যমে আপনার প্রশ্নের উত্তর বা সমস্যার সমাধান পেতে পারেন এবং আপনি অন্য জনের প্রশ্নের উত্তর বা সমস্যার সমাধান দিতে পারবেন। মূলত এটি বাংলা ভাষাভাষীদের জন্য একটি প্রশ্নোত্তর ভিত্তিক কমিউনিটি। বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার পাশাপাশি অনলাইনে উন্মুক্ত তথ্যভান্ডার গড়ে তোলা আমাদের লক্ষ্য।

  1. Info Blog Bn

    50 পয়েন্ট

    0 উত্তর

    0 প্রশ্ন

  2. Jahed hussen

    50 পয়েন্ট

    0 উত্তর

    0 প্রশ্ন

  3. নাজমুল হুদা

    50 পয়েন্ট

    0 উত্তর

    0 প্রশ্ন

  4. Rayhan hossen

    50 পয়েন্ট

    0 উত্তর

    0 প্রশ্ন

  5. Atikul

    50 পয়েন্ট

    0 উত্তর

    0 প্রশ্ন

শীর্ষ বিশেষ সদস্য

...