বুলেটপ্রুফ জ্যাকেটে কেভলার নামের খুব শক্ত তন্তু থাকে। এছাড়া বায়োস্টিল (যা স্টিলের চেয়ে প্রায় ২০ গুন শক্ত) বা কার্বন ন্যানোটিউবও (বেশ দামী) ব্যবহার করা হতে পারে। তন্তুগুলোর দুই দিকে থাকে রেজিন প্লাস্টিকের পাত। তন্তুগুলো অনেক ঘন করে প্যাচানো থাকে যাতে এরা বেশ দৃঢ় হয় এবং বুলেটকে আটকে ফেলতে পারে। ফুটবলের চেয়ে বুলেটের গতি অনেক বেশি থাকে। তাই বুলেটকে আটকানোর জন্য এই বিশেষ ধরণের তন্তু ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে একটা ঝামেলা কিন্তু রয়ে গেল! বুলেটকে আমরা আটকাতে পারলাম ঠিকই কিন্তু আমরা এখনই গ্যারান্টি দিতে পারিনা যে যিনি এটা পরে থাকবেন তিনি আহত হবেন না। কারণ হচ্ছে যে বুলেটটা হয়ত জ্যাকেট ভেদ করে যেতে পারবেনা কিন্তু যে জায়গায় আঘাত করবে সে জায়গায় এত বেশি প্রেসার পড়বে যে মনে হবে কেউ যেন হাতুড়ি দিয়ে একটা বাড়ি দিল! ফলে বুকে যদি গুলি লাগে পাঁজর ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনাকেও উড়িয়ে দেয়া যায়না। তাই জ্যাকেটগুলো এমনভাবে ডিজাইন করা হয় যেন বুলেটটা যে জায়গায় আঘাত করল শুধু সেই জায়গার না, বরং পুরো জ্যাকেটের তন্তুগুলোই বুলেটের গতিশক্তিকে শোষণ করে নিতে পারে। তাই আঘাতের প্রভাবটা শুধু এক জায়গায় কেন্দ্রীভূত না হয়ে সব জায়গাতেই পড়ে এবং ব্যবহারকারী যেন আর আগের মত ব্যথা না পায়। বুলেটটা যখন এসে জ্যাকেটে আঘাত করে এবং আটকে যায় তখন বুলেটের মাথাটা চ্যাপ্টা হয়ে যায়। কাদার একটা বলকে ওয়ালে ছুড়ে দিলে তা যেমন চ্যাপ্টা হয়ে যায় অনেকটা তেমন। এ ঘটনাকে বলা হয় মাশরুমিং। এক একটা টাইপের জ্যাকেটের ক্ষমতা এক এক রকম হয়। কোনটা বেশি ডায়ামিটারের বুলেটকে আটকাতে পারে, কোনটা কম। ওজনের দিকেও খেয়াল রাখতে হয় যেন পরে নড়াচড়া করতে কষ্ট না হয়।