আস্ক প্রশ্নে আপনাকে স্বাগতম ! এটি একটি প্রশ্নোত্তর ভিত্তিক কমিউনিটি। এই সাইট সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন ...
799 বার প্রদর্শিত
"ইসলাম ধর্ম" বিভাগে করেছেন (1,972 পয়েন্ট) 33 101 141
ইসলামের দৃষ্টিতে ক্রিকেট - ফুটবল খেলা এবং দেখা জায়েজ আছে কি?

1 উত্তর

0 পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন (1,496 পয়েন্ট) 15 32 43

মঙ্গল শোভাযাত্রা নিয়ে কয়েকদিন আগেই একটা টক শো দেখলাম। একজন ইসলামপন্থী মোল্লা খুব চিৎকার করে এগুলোকে বিধর্মী কালচার বলে এগুলো বন্ধের আহবান জানালেন। রবীন্দ্র সংগীত গাওয়া, সূর্যকে বরণ করা ইত্যাদি নিয়ে উনার খুবই সমস্যা। তাতে আমার আপত্তি নেই। কেউ যদি বৈশাখের কোন উৎসব পালন করতে না চান, সেটা তার স্বাধীনতা। কেউ কাউকে জোর করে তো বৈশাখের অনুষ্ঠানে নিয়ে জোর করে রবীন্দ্রসংগীত গাইতে বাধ্য করছে না।

এই নিয়ে ফেইসবুকের মুমিনদের মধ্যেও দেখলাম ব্যাপক উত্তেজনা। তারা এই দিনে মেয়েরা কেন শাড়ি পড়ছে, কেন ছেলেমেয়ে একসাথে মেলামেশা করছে তা নিয়ে খুবই পেরেশান। কেউ কেউ তো একটু আগ বাড়িয়ে বোমা মেরেও সব হিন্দুয়ানি সংস্কৃতি বন্ধের হুমকিও দিলো। তাই যেহেতু তারা এক একজন সাচ্চা মুসলমান, তাই তাদের অবগতির জন্য এই লেখাটি। কারণ তারা না জেনে না বুঝে যদি কোন বিধর্মীদের সংস্কৃতি ঐতিহ্য খেলাধুলো করে, বেচারাদের হুরগুলো মিস হয়ে যাবে। প্রায় সময়ই ক্রিকেট নইলে ফুটবল নিয়ে তাদের মধ্যে যেই মাতামাতি দেখি, সেই ক্রিকেট খেলা কী তাদের জন্য হালাল, না হারাম? এটা কী ইসলামি সংস্কৃতি? নাকি বিধর্মী সংস্কৃতি? ইসলামে হালাল খেলাধুলা কী কী?

ইসলাম বলছে, যে কাজ হারাম ও কুফরী তাকে হালাল মনে করা কুফরী। অর্থাৎ যে হালাল মনে করবে সে কাফির হয়ে যাবে। আর যে কাজ হারাম ও কুফরী নয় কিন্তু পাপের কারণ, আর সে পাপকে হালকা বা তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য মনে করে অর্থাৎ এ ধরনের পাপ করলে কিছু হয় না ইত্যাদি মনে করাটাও কুফরী। হাদিসে বলা হয়েছে,

হাদীছ শরীফের বিখ্যাত কিতাব ‘মুসতাদরেকে হাকিম’ এর মধ্যে হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহুতায়ালা আনহু হতে বর্ণিত আছে, আল্লাহ পাক-এর হাবীব, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন,
“সর্বপ্রকার খেলাধুলা হারাম। তিনটি বিষয় খেলাধুলার অন্তর্ভুক্ত নয়।
যেমনঃ
১. তীরধনুক চালনা করা,
২. অশ্বকে প্রশিক্ষণ দান করা,
৩. নিজ আহলিয়ার সাথে শরীয়তসম্মত হাসি-খুশী(!) করা।”

আরও বলা হয়েছে, হাদীছ শরীফ বা শরীয়তে যে সমস্ত বিষয়গুলোকে জায়িজ বলা হয়েছে বা অনুমোদন করা হয়েছে, সে সমস্ত বিষয়গুলোতে যেমন দ্বীনি ফায়দা রয়েছে, তেমনি দুনিয়াবী ফায়দাও নিহিত রয়েছে। যেমন, তীর চালনা করা, অশ্বকে প্রশিক্ষণ দেয়া, সাতার কাটা, দৌড় অনুশীলন ইত্যাদি জিহাদের প্রস্তুতি গ্রহণের অন্তর্ভুক্তএবং স্বাস্থ্যকে সুঠাম ও বলিষ্ঠ রাখার কারণ।

হাদীছ শরীফে আরো ইরশাদ হয়েছে, “কোন ব্যক্তির জন্য দ্বীনের সৌন্দর্য হলো, অহেতুক বা অপ্রয়োজনীয় কাজ-কর্ম থেকে বিরত থাকা।”(তিরমিযী, ইবনে মাযাহ, মুয়াত্তা)

এছাড়াও “যে খেলা বিধর্মীদের সাথে তাশাব্বুহ বা সাদৃশ্য রাখে অথবা দ্বীন ইসলাম থেকে সরিয়ে দেয়, তা সম্পূর্ণ কুফরীর অন্তর্ভূক্ত।”

আবু দাউদ শরীফের হাদীছ শরীফে ইরশাদ হয়েছে, “যে ব্যক্তি যে সম্প্রদায়ের সাথে মিল রাখে, সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত।”

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

1 উত্তর
2 টি উত্তর
1 উত্তর
08 অগাস্ট 2022 "ইসলাম ধর্ম" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন MdOmorFaruq (56 পয়েন্ট) 4 6
1 উত্তর
1 উত্তর
04 জুন 2018 "ইসলাম ধর্ম" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন অা ক ম আজাদ (8,268 পয়েন্ট) 97 583 689

28,156 টি প্রশ্ন

29,682 টি উত্তর

3,147 টি মন্তব্য

3,946 জন সদস্য



আস্ক প্রশ্ন এমন একটি প্ল্যাটফর্ম, যেখানে কমিউনিটির এই প্ল্যাটফর্মের সদস্যের মাধ্যমে আপনার প্রশ্নের উত্তর বা সমস্যার সমাধান পেতে পারেন এবং আপনি অন্য জনের প্রশ্নের উত্তর বা সমস্যার সমাধান দিতে পারবেন। মূলত এটি বাংলা ভাষাভাষীদের জন্য একটি প্রশ্নোত্তর ভিত্তিক কমিউনিটি। বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার পাশাপাশি অনলাইনে উন্মুক্ত তথ্যভান্ডার গড়ে তোলা আমাদের লক্ষ্য।

  1. Info Blog Bn

    50 পয়েন্ট

    0 উত্তর

    0 প্রশ্ন

  2. Jahed hussen

    50 পয়েন্ট

    0 উত্তর

    0 প্রশ্ন

  3. নাজমুল হুদা

    50 পয়েন্ট

    0 উত্তর

    0 প্রশ্ন

  4. Rayhan hossen

    50 পয়েন্ট

    0 উত্তর

    0 প্রশ্ন

  5. Atikul

    50 পয়েন্ট

    0 উত্তর

    0 প্রশ্ন

শীর্ষ বিশেষ সদস্য

...