আপনার ছেলে পড়াশোনায় কেমন ছিল? ওর কি বাবা আছেন? আপনারা কি সন্তানের আয়ের ওপর নির্ভরশীল? এই তথ্যগুলো পেলে খুব সুবিধা হতো।
এ ছাড়া সিঙ্গাপুরে সে কী ধরনের চাকরি করে, মাসিক আয় মোটামুটি ভালো কি না, তার ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনধারা কেমন—সেগুলো জানাও খুব জরুরি।
যাঁরা বিদেশে থাকেন এবং খুব বেশি উপার্জন করেন না, তাঁরা সামাজিক মর্যাদা নিয়ে টানাপোড়েনের মধ্যে পড়েন। কেউ কেউ বেশ নিঃসঙ্গ ও কষ্টকর জীবন যাপন করেন।
মনে হচ্ছে, আপনার সন্তান অল্প বয়সে সেখানে গিয়ে কাজ করার ফলে বেশ ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। হয়তো-বা সে কাজগুলো আনন্দের সঙ্গেও করতে পারছে না।
আপনি তার সঙ্গে আরেকবার কথা বলে বোঝার চেষ্টা করতে পারেন, সে ঠিক কী কারণে দেশে এসে আবার লেখাপড়া শুরু করতে চাইছে।
সেটি কি কেবল ওখানে ভালো লাগছে না বলে? নাকি সত্যিই সে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করে নিজেকে অন্যভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছে?
ভবিষ্যৎ নিয়ে কী ধরনের আকাঙ্ক্ষা এই মুহূর্তে তার মধ্যে কাজ করছে, তা-ও জানা প্রয়োজন।
দেশে এসে সারা দিন কায়িক শ্রম করে বা অল্প বেতনে চাকরি করে তার পক্ষে লেখাপড়ায় ভালো ফল করা বেশ কঠিন হবে।
বিষয়টি তাকে জানিয়ে রাখলে ভালো হয়। যদি সে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ থাকে যে ওখানে সে নিজের কোনো ভবিষ্যৎ দেখতে পাচ্ছে না, তাহলে তো দেশে না এসে উপায় নেই।
আপনি তাকে খুব ভালো করে ভেবে তারপর সিদ্ধান্ত নিতে বলতে পারেন। ওখানে থাকলে তার নিজের ও পরিবারের কী সুবিধা ও অসুবিধা হতে পারে, দেশে এসে নিজে উপার্জন করে পড়ালেখা করলে কী সুবিধা-অসুবিধার সম্মুখীন হতে হবে, তার একটি তালিকা করে দেখলে ভালো হয়। দুটোর সুবিধা-অসুবিধা ভালোভাবে তুলনা করে দেখলে সিদ্ধান্ত নিতে সহজ হবে।
কামরুল হাসান ফরহাদ, সমন্বয়ক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত আছেন আস্ক প্রশ্ন ডট কমের সাথে। নিজের সমস্যার সমাধানের পন্থা নিজেই খুঁজে বের করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে ভালোবাসেন। প্রশ্ন অ্যানসারকে ভালোবেসে নিয়েছেন নিজে জানার ও অপরকে জানানোর জন্য।