আস্ক প্রশ্নে আপনাকে স্বাগতম ! এটি একটি প্রশ্নোত্তর ভিত্তিক কমিউনিটি। এই সাইট সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন ...
201 বার প্রদর্শিত
"অন্যান্য" বিভাগে করেছেন (1,670 পয়েন্ট) 99 1323 1427

1 উত্তর

0 পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন (2,796 পয়েন্ট) 158 422 438

রোযাদারের ইফতার করার ক্ষেত্রে বিধান হল- সূর্য অস্ত যেতে হবে এবং রাত শুরু হতে হবে। 


এর দলীল হচ্ছে- আল্লাহ তাআলার বাণী: 

“আর পানাহার কর যতক্ষণ না কাল রেখা থেকে ভোরের শুভ্র রেখা পরিষ্কার দেখা যায়। অতঃপর রোযা পূর্ণ কর রাত পর্যন্ত।” [২ আল-বাক্বারাহ : ১৮৭] 

ইমাম তাবারী বলেছেন:  
আল্লাহর বাণী: “অতঃপর তোমরা রোযাপূর্ণ কর রাত পর্যন্ত” 

এখানে আল্লাহ তাআলা রোযার সময়-সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছেন। 
রোযার শেষ সময় নির্ধারণ করেছেন- রাতের আগমন। 

অন্যদিকে ইফতার, খাদ্য-পানীয়, স্ত্রী-মিলনবৈধ হওয়ার শেষ সময় ও রোযা শুরু করার সময় নির্ধারণ করেছেন- দিনের আগমন ও রাতের শেষভাগেরপ্রস্থান। এ থেকে প্রমাণ পাওয়া যায় যে, রাতের বেলায় কোন রোযা নেই। অপরদিকে রোযার দিনগুলোতে দিনের বেলায় পানাহার বা স্ত্রী-মিলন নেই।” সমাপ্ত [ তাফসীরে তাবারী (৩/৫৩২)] 

রোযাদারের জন্য সুন্নত হলো অবিলম্বে ইফতার করা। 
সাহ্ল ইবনে সাদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়াসাল্লাম বলেছেন:    

‘‘মানুষ তত দিন পর্যন্ত কল্যাণে থাকবে যতদিন তারা অবিলম্বে ইফতার করবে।’’ [হাদিসটি বর্ণনা করেছেন ইমাম বুখারী (১৮৫৬) ওইমাম মুসলিম (১০৯৮)] 

ইবনে আব্দুল বার রাহিমাহুল্লাহ বলেন: “সুন্নত হলো-অবিলম্বে ইফতার করা এবং বিলম্বে সেহরি খাওয়া। 
অবিলম্বে মানে- সূর্য অস্ত যাওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে অবিলম্বে ইফতার করা। সূর্য অস্ত গিয়েছে কি; যায়নি- এ ব্যাপারে সন্দিহান থেকে ইফতার করা জায়েয নয়। 
কারণ “নিশ্চিত জ্ঞানের ভিত্তিতে যে ফরজ আমল অনিবার্য হয়েছে, সে ফরজ আমল শেষও করতে হবে নিশ্চিত জ্ঞানের ভিত্তিতে।” সমাপ্ত[আত-তামহীদ (২১/৯৭, ৯৮)] 

ইমাম নববী রাহিমাহুল্লাহ বলেছেন: “সূর্য অস্ত যাওয়া নিশ্চিত হয়েঅবিলম্বে ইফতারকরার ব্যাপারে এই হাদিসে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। হাদিসের মর্মার্থ হলোএই উম্মতেরঅবস্থা ততদিন পর্যন্ত সুশৃঙ্খল থাকবে এবং তারা কল্যাণেথাকবে যতদিন তারা এই সুন্নতপালন করে যাবে।”সমাপ্ত [শরহু মুসলিম (৭/২০৮)] 

মুয়াজ্জিনের প্রসঙ্গ: যদি লোকেরা ইফতার করার জন্য মুয়াজ্জিনের আযানের অপেক্ষায় থাকে তাহলে মুয়াজ্জিনের উচিত অবিলম্বে আযান দেয়া। কারণ মুয়াজ্জিন বিলম্বে আযান দিলে লোকেরাও বিলম্বে ইফতার করবে এবং এতে করে সুন্নত লঙ্ঘিত হবে। 

আর যদি মুয়াজ্জিন সামান্য কিছু মুখে দিয়ে (যেমন এক ঢোক পানি) আযান দেন যাতে আযানে বিলম্বে না হয় তাতে কোন দোষ নেই। আর যদি মানুষ ইফতার করার জন্য মুয়াজ্জিনের আযানের অপেক্ষায় না থাকে যেমন কোন এক ব্যক্তি নিজের নামাযের জন্য আযান দিল (উদাহরণতঃ মরুভূমিতে একা হতে পারে) অথবা এমন একদল মানুষের জন্য আযান দিল যারা সবাই কাছাকাছি উপস্থিত আছে (উদাহরণতঃ মুসাফির কাফেলা) সে ক্ষেত্রে আযানের আগে ইফতার করে নিতে কোন আপত্তি নেই। কেননা আযান না দিলেও তার সঙ্গিরা সবাই তার সাথে ইফতার করে নিবে; কেউ তার আযানের অপেক্ষায় থাকবে না। আল্লাহই সবচেয়ে ভাল জানেন। 



সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

2 টি উত্তর
09 মে 2018 "ইসলাম ধর্ম" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Siddique (4,388 পয়েন্ট) 274 1555 1592
1 উত্তর
04 মে 2018 "ইসলাম ধর্ম" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন অা ক ম আজাদ (8,268 পয়েন্ট) 94 560 689
2 টি উত্তর
1 উত্তর
04 মে 2018 "ইসলাম ধর্ম" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন অা ক ম আজাদ (8,268 পয়েন্ট) 94 560 689

28,156 টি প্রশ্ন

29,682 টি উত্তর

3,147 টি মন্তব্য

3,935 জন সদস্য



আস্ক প্রশ্ন এমন একটি প্ল্যাটফর্ম, যেখানে কমিউনিটির এই প্ল্যাটফর্মের সদস্যের মাধ্যমে আপনার প্রশ্নের উত্তর বা সমস্যার সমাধান পেতে পারেন এবং আপনি অন্য জনের প্রশ্নের উত্তর বা সমস্যার সমাধান দিতে পারবেন। মূলত এটি বাংলা ভাষাভাষীদের জন্য একটি প্রশ্নোত্তর ভিত্তিক কমিউনিটি। বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার পাশাপাশি অনলাইনে উন্মুক্ত তথ্যভান্ডার গড়ে তোলা আমাদের লক্ষ্য।

  1. Website

    50 পয়েন্ট

    0 উত্তর

    0 প্রশ্ন

  2. শারমিন

    50 পয়েন্ট

    0 উত্তর

    0 প্রশ্ন

  3. MD Rashed Ahmed

    50 পয়েন্ট

    0 উত্তর

    0 প্রশ্ন

  4. মোঃ শাওন ইসলাম

    50 পয়েন্ট

    0 উত্তর

    0 প্রশ্ন

  5. মুহা.ইয়াকুব

    50 পয়েন্ট

    0 উত্তর

    0 প্রশ্ন

শীর্ষ বিশেষ সদস্য

...