আস্ক প্রশ্নে আপনাকে স্বাগতম ! এটি একটি প্রশ্নোত্তর ভিত্তিক কমিউনিটি। এই সাইট সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন ...
355 বার প্রদর্শিত
"স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে করেছেন (171 পয়েন্ট) 25 82 84
পূনঃপ্রদর্শিত করেছেন

2 উত্তর

0 পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন (940 পয়েন্ট) 27 97 123
এমন দেশ কোথাও খুঁজে পাওয়া
যাবে না যেখানে কারো কোনো
টেনশন নেই। এখন
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন
জাগতে পারে টেনশন থেকে
পরিত্রাণের কি কোনো পন্থা
আছে? এ ক্ষেত্রে বলা যায়,
টেনশন সৃষ্টির কারণগুলো
দূর করা গেলে এ থেকে মুক্তি
পাওয়া সম্ভব। আসলে টেনশন
কোনো দীর্ঘমেয়াদি ব্যাধি
নয়। এটি হলো একটি সামগ্রিক
মানসিক অবস্থা। জীবনের
সমস্যাসঙ্কুল চলমান
পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ
খাইয়ে চলতে গিয়ে এক টেনশন থেকে
আর এক টেনশনের সৃষ্টি হয়।
এখন এ টেনশন উপশমের জন্য
যেসব বিষয় সহায়তা করে থাকে
তা নিচে আলোচনা করা হলো।
সময়ের মূল্যায়ন আজকাল
মানুষ বিভিন্ন কাজ ও পেশায়
ব্যস্ত। যার ফলে তাদের
সময়ের চাকার সঙ্গে তাল
মেলাতে বেশ কষ্ট ও অসুবিধা
হয়। তাই সময়কে নির্দিষ্ট
কাজের জন্য পরিকল্পনা
অনুযায়ী ভাগ করে নির্ধারিত
সময়ে সম্পন্ন করলে টেনশন
অনেকাংশে লাঘব হয়ে যাবে। এ
কথা মনে রাখতে হবে যে, সময়কে
ভাগ করে সময়ের কাজ সময়ে শেষ
করার অভ্যাস গড়ে তুলতে
হবে। নিয়মিত স্বাস্থ্য
পরীক্ষা করা
স্বাস্থ্যসম্পর্কিত
উৎকণ্ঠা অনেক সময়ে মানুষের
মধ্যে টেনশনের উদ্রেক করতে
পারে। কাজেই নিয়মিত
স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে
ব্যক্তি তার স্বাস্থ্য
সম্পর্কে নিশ্চিন্ত হতে
পারে এবং স্বাস্থ্যগত
নিশ্চয়তা টেনশন কমানোর
ব্যাপারে সহায়ক হবে।
বাস্তববাদী হওয়া যে কোনো
ঘটনা বা ভবিষ্যতে কী হতে
পারে এ আশঙ্কায় অনেকে অযথা
উৎকণ্ঠিত ও চিন্তিত হয়ে
পড়েন। এ ক্ষেত্রে এ কথা মনে
রাখতে হবে জীবন মানে কিছু
সমস্যা থাকবে এবং এমন কিছু
ঘটনা ঘটতে পারে যা জীবনে
কাম্য নয়। তবে এও ঠিক,
সবকিছুর সমাধান রয়েছে ও সময়ে
সব ঠিক হয়ে যায়। কাজেই
বাস্তব পরিস্থিতি মেনে
নিয়ে তার সঙ্গে খাপ খাইয়ে
চলার মানসিকতা গ্রহণ করতে
হবে। ফলে কিছুটা টেনশন কমে
যাবে। মনের কথা খুলে বলা
মানুষ ব্যক্তিগত কিছু কথা
তার বিশ্বাসভাজন
ব্যক্তির কাছে প্রকাশ করে
হালকা হতে বা প্রয়োজনবোধে
তার সৎ পরামর্শ নিয়ে
সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে তার
কাজের জন্য উৎসাহ-
উদ্দীপনা ও যৌক্তিকতা
খুঁজে পাবে। ফলে তার
দুশ্চিন্তার নিরসন হতে
পারে।নিয়মানুবর্তিতা পালন
করা নিয়মমতো কাজ সম্পাদন
করার অভ্যাস গড়ে তুলতে
হবে। কেননা অনিয়ম,
ত্রুটিপূর্ণ ও অগোছালো
কাজ কখনো সুন্দর ও
সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা
সম্ভব হয়ে ওঠে না এবং এর
থেকেই উৎপত্তি হয় এ
টেনশনের। কাজেই নার্ভাস না
হয়ে নিয়ম-নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ
করলে আর টেনশন থাকে না।না
বলতে শিখুন শুধু না বলতে না
পারার কারণেই বহু অপরাধ,
অন্যায়-আবদার, আদেশ থাকে
0 পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন (8,268 পয়েন্ট) 98 604 689
আসুন জেনে নেই কিভাবে আপনি টেনশন মুক্ত থাকবেন।
১. রিলাক্স করতে শিখুন : আপনি কি জানেন সত্যিকার ভাবে রিলাক্স করা? আপনি হয়ত বলবেন, ‘অবশ্যই’। কিন্তু অনেকেই রিলাক্স করতে গিয়ে আরও বেশি টেনশনে পরে যান। রিলাক্স করার জন্যে আমরা টিভি দেখি , গেমস খেলি আরো অনেক কিছুই করি কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই আমাদের টেনশন আরো বেড়ে যেতে পারে । যেমন আপনি যদি এমন কোনো অনুষ্ঠান দেখেন যা আপনার ব্লাড প্রেশার বাড়িয়ে দিল বা আপনাকে আরো অস্থির করে তুলল। অনেকে ধূমপান করেও নিজেকে দুশ্চিন্তামুক্ত ভাবেন আসলে এর সবই সাময়িক । এর কোনটিই আপনার টেনশন দূর করতে বা আপনাকে রিলাক্স করতে সাহায্য করে না । আপনি টেনশনমুক্ত  হতে করতে পারেন যোগব্যয়াম অথবা তাইচি এর মাধ্যমে । ঘনঘন গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস আপনার মন কে শান্ত করে এবং আপনার আত্ববিশ্বাস বাড়িয়ে তোলে ।
২. পর্যাপ্ত ঘুম এবং ব্যয়াম : জীবনের সকল কিছুর জন্যে আপনার মন ও শরীরকে প্রস্তুত করতে দুইটিই সমান গুরুত্ব বহন করে । শুধু একটি শক্ত মন একটি দুর্বল শরীরকে টেনে তুলতে পারে না । আবার আপনি যতই শক্তিশালী হন না কেন, আপনার মন দূর্বল হলে আপনার জন্য উঠে দাঁড়ানো খুবই কঠিন ।
৩. মানুষের সাথে মিশুন : জীবন অনেক বড় । নিজেকে গুটিয়ে রাখবেন না । আপনি যত মানুষের সাথে মিশবেন আপনার মন তত বড় হবে , মনের সংকীর্ণতা দূর হবে । আপনি মানুষকে আরো ভালোভাবে চিনতে পারবেন । একবার ভেবে দেখুন আপনি নিজেকে কেন গুটিয়ে রাখবেন ? আসলেই কি কোনো কারন আছে ? মানুষের সাথে মিশলে আপনার অভিজ্ঞতা বাড়বে এবং আপনার যেকোনো পরিস্থিতি সামাল দেয়ার মত ক্ষমতা তৈরী হবে ।
 ৪. প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যান : মাঝেমাঝেই সময় সুযোগ করে বেড়িয়ে পড়ুন আপনার জান মতে ভাল কোনো জায়গায় । উপভোগ করুন প্রকৃতির বিশালতা । নিজেকে নতুন করে খুঁজে পেতে এর কোনো বিকল্প নেই । যদি সম্ভব হয় যেতে পারেন একদম একা, শুধুই নিজের জন্য।
খেয়াল রাখবেন যে আপনি এখানে গিয়েছেন শান্তির জন্যে তাই সমস্ত টেনশন মাথা থেকে দূরে রাখবেন যতটা সম্ভব ।
৫. পজিটিভ চিন্তা করুন : মানুষের নিজের চিন্তাধারা মানুষ কে সব চেয়ে বেশি প্রভাবিত করে । আজ আকাশে মেঘ দেখে আপনি ভাবতে পারেন যে আজ দিনটি ভালো যাবে না, কিন্ত আপনি তো এটাও ভাবতে পারেন যে আজ মজা করে বৃষ্টিতে ভিজব । আপনাকে শিখতে হবে যে কিভাবে আপনি নিজেকে আরো ভালো রাখতে পারবেন । সবসময় এমন মানুষের সাথে মিশবেন যারা পজিটিভ চিন্তা করে, কারন এতে আপনার অনেক উপকার হবে । নিজের প্রতি আরো বেশি আস্থা রাখুন এবং সাহসের সাথে এগিয়ে যান । আপনার চিন্তাধারাই আপনাকে রাখবে দুশ্চিন্তামুক্ত ।
আ ক ম আজাদ আস্ক প্রশ্ন ডটকমের সাথে আছেন সমন্বয়ক হিসাবে। বর্তমানে তিনি একজন শিক্ষক। আস্ক প্রশ্ন ডটকমকে বাছাই করে নিয়েছেন জ্ঞান আহরণ ও জ্ঞান বিতরণের মাধ্যম হিসাবে। ভবিষ্যতে একজন বক্তা ও লেখক হওয়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছেন। এই আশা পূর্ণতা পেতে সকলের নিকট দু'আপার্থী।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

1 উত্তর
21 মার্চ 2018 "স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন অচেনা পথিক (52 পয়েন্ট) 49 273 277
1 উত্তর
22 মার্চ 2018 "লাইফ স্টাইল" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Raju Ahamed (1,189 পয়েন্ট) 45 251 281
1 উত্তর
13 মার্চ 2018 "প্রেম-ভালোবাসা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন অচেনা পথিক (52 পয়েন্ট) 49 273 277

28,172 টি প্রশ্ন

29,716 টি উত্তর

3,148 টি মন্তব্য

3,975 জন সদস্য



আস্ক প্রশ্ন এমন একটি প্ল্যাটফর্ম, যেখানে কমিউনিটির এই প্ল্যাটফর্মের সদস্যের মাধ্যমে আপনার প্রশ্নের উত্তর বা সমস্যার সমাধান পেতে পারেন এবং আপনি অন্য জনের প্রশ্নের উত্তর বা সমস্যার সমাধান দিতে পারবেন। মূলত এটি বাংলা ভাষাভাষীদের জন্য একটি প্রশ্নোত্তর ভিত্তিক কমিউনিটি। বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার পাশাপাশি অনলাইনে উন্মুক্ত তথ্যভান্ডার গড়ে তোলা আমাদের লক্ষ্য।

শীর্ষ বিশেষ সদস্য

...