On page optimization কি?
অন পেজ অপটিমাইজেশন হলো কোন ওয়েবসাইটের ভিতর যে সকল কাজ করে অপটিমাইজেশন করা হয়।
কেন আপনার সাইটের জন্য On page optimization করবেন?
আমরা অন পেজ অপটিমাইজেশন বিষয়টি নিয়ে ভালোভাবে বুঝার চেষ্টা করবো। আপনাকে যদি প্রশ্ন করা হয়, আপনি ওয়েবসাইটে কি কি কাজ করেন?
এই প্রশ্নের উত্তর হবে, আপনি সাইটে কনটেন্ট লিখেন বা পোষ্ট লেখা-লেখি করেন, পোষ্টে ইমেজ বসান, গান আপলোড করেন, ফ্লাসিক মিডিয়া বসান ইত্যাদি।
এসব জিনিসকে সার্চ ইঞ্জিনের জন্য উপযোগী করে তোলাই হচ্ছে অন পেজ অপটিমাইজেশন এর কাজ।
যখন আমরা ওয়েব পেজের html tags (যেমন: Title Tag, H1-H6 tag, bold, strong etc.) ট্যাগগুলো ব্যবহার করি, তা সার্চ ইঞ্জিনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কারণ- এই ট্যাগগুলো সার্চ ইঞ্জিন প্রাসঙ্গিকতা measure করতে সাহায্য করে। সাধারনভাবে বলা যায়, ওয়েব পেজে এই ট্যাগগুলো ব্যবহার করাই One page SEO এর একটি গুরুত্বপূর্ণ পার্ট।
অন পেজ অপটিমাইজেশন সাইটের কয়েকটি মৌলিক বিষয়বস্তুকে কেন্দ্র করে অন পেজ অপটিমাইজেশন করা হয়।
আজ আমি আপনাদের শিখাবো, আপনার সাইটের জন্য অন পেজ অপটিমাইজেশন করতে হলে, যেসব বিষয়বস্তু সম্পর্কে আপনার জানা খুব জরুরী দরকার।
অন পেজ অপটিমাইজেশন এ যে মৌলিক বিষয়বস্তুগুলো অন্তভুক্ত থাকে –
১. সাইটে Title Tag ব্যবহার
২. keyword research করা
৩. Meta Description Tag ব্যবহার
৪. Image alt attributes (alt tags)
৫. Hearder tags (H1—H6)
৬. Anchor text links (a href=”link”)
৭. URL structure
৮. XML sitemaps তৈরী করা ..…ইত্যাদি। তৈরী করা ..…ইত্যাদি।
এসব বিষয়গুলোকে যদি আপনি শিখতে পারেন, তাহলে আপনি অন পেজ অপটিমাইজেশন তে ভালো রেজাল্টে পাবেন। এসইওতে র্যাঙ্কিন পারেন।
Title tag :
টাইটেল ট্যাগ হচ্ছে আপনার ওয়েবসাইটের হেড লাইন বা শিরোনাম। এসইও তে টাইটেল ট্যাগের তেমন কোন আসে না। কিন্তু, একটি সাইটের ভালো মানের টাইটেল ভিজিট বাড়তে পারে।
আপনার ইচ্ছা মতো কী- ওয়ার্ডের দিয়ে টাইটেল ট্যাগ দিন এবং টাইটেল দেওয়ার সময় কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে।
যেমনঃ
১. টাইটেলকে ৯-১০টি শব্দরের ভিতরে রাখুন।
২. যতটুকুসম্ভব টাইটেল ছোট দিন, আবার বেশি ছোট করতে গিয়ে টাইতেলের খারাপ অবস্থা করার দরকার নেই।
৩. কীওয়ার্ডকে টার্গেট করে সাইটের টাইটেল ব্যবহার করবেন।
৪. টাইটেলে ( ৳, ₹, #, @, €, %, ^, () .… etc.) এই রকম চিহ্ন দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।
৫. টাইটেল এমনভাবে দিবেন যা দেখে ভিজিটর সহজে বুঝতে পারে সাইটে কি আছে এবং আপনার সাইটে প্রবেশ করতে আগ্রহ তৈরি হয়।
যেমন : ধরুন, আপনার সাইটের কীওয়ার্ড “Bangla Video Song”। সার্চ ইঞ্জিনে ভিজিটর বাংলা ভিডিও গান ডাউনলোড করতে “Bangla Video Song” লিখে সার্চ দিবে। সেখানে যদি আপনার সাইটের টাইটেলর সাথে Download কথাটি লিখাটি (Download Bangla Video Song) থাকে, তাহলে আপনার সাইট যদি ১০ নাম্বারের মধ্যে থাকতে পারবে এবং ভিজিটর পেতে পারেন।
keyword Research করা :
keyword research কি , কিভাবে কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে হয়?
Meta Description Tags :
ডিসক্রিপশন ট্যাগ হচ্ছে আপনার ওয়েবসাইট সম্পর্কে ছোট Description বা বর্ণনা দেওয়া। ডিসক্রিপশন ট্যাগ দিয়ে সার্চ ইঞ্জিনকে আপনার ওয়েবসাইটের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেওয়া হয়। ডিসক্রিপশন সার্চ রেজাল্ট পেজে সার্চ ইঞ্জিন আপনার ওয়েব পেজের সম্পর্কে প্রদর্শন করে থাকে। আপনার ডিসক্রিপশনটি ৪৫-৫০ শব্দের মধ্যে লিখুন। কেননা- সব সার্চ ইঞ্জিনই ৪৫-৫০ শব্দের বেশী সার্চ রেজাল্ট পেজে প্রদর্শন করে থাকে না। এই ট্যাগের শব্দ সঠিকভাবে বা নির্ভুল লিখুন এবং এক ট্যাগ বার বার ব্যবহার করবেন না।
Hearder tags (H1—H6) :
সার্চ ইঞ্জিন এলগরিদমের বোল্ড ,ইটালিক, আন্ডারলাইন (Bold,Italic,Underline) এসব ট্যাগ রাখে নাই।
এজন্য, আর্টিকেলের মধ্যে থাকা এসব ট্যাগ ক্রলিং এর সময় সার্চ ইঞ্জিন খুঁজে পায় না। কিন্তু, যদি আপনি আর্টিকেলের মধ্যে সার্চ ইঞ্জিন বান্ধব ট্যাগ অর্থাৎ Heading tag – H1 থেকে H6 ট্যাগ ব্যবহার করেন, তাহলেই সার্চ ইঞ্জিন ক্রলিং এর সময় এসব ট্যাগ খুঁজে নিবে। কারণ, এসব ট্যাগ সার্চ ইঞ্জিন আর্টিকেলের টাইটেল বা হেডলাইন হিসেবে ধরে নিবে।
Anchor text links (a href=”link”) :
এটি এসইওতে অতি প্রয়োজনীয় একটি বিষয়। এটার মাধ্যমে ওয়েব পেজে বিভিন্ন লিংক (click here) তৈরি করা হয় এবং গুগল লিঙ্ক করা পেজের সাথে এই পেজের relevancy measure করে।
Image alt attributes (alt tags) :
এটি খুব গুরুত্বপুর্ণ একটি বিষয়। কারন- সার্চ ইঞ্জিন কোন ইমেজ পড়্তে পারে না। তাই, ALT Tags ব্যবহার করার ফলে সার্চ ইঞ্জিন সহজে বুঝতে পারে ইমেজটা কিসে ব্যবহার করা হয়েছে।
ALT Image Tags Keword ওয়েব পেজের বিষয়বস্তুকে সবচেয়ে আকর্ষণীয় করে তুলে। অলটার ট্যাগ কিওয়ার্ড এসইও তে ব্যাপক ভুমিকা পালন করে। যখন কোন ভিজিটর সার্চ ইঞ্জিনে ইমেজ খুজে, তখন ইমেজের অলটার ট্যাগ কিওয়ার্ড আপনার সাইটের ইমেজ পেতে সাহায্য করবে। তাই, ইমেজে অলটার ট্যাগ কিওয়ার্ড ব্যবহার করুন। ইমেজের সাইজের প্রতি খেয়াল রাখুন। আর একটা কথা মনে রাখবেন, গুগল থেকে নেয়া ইমেজ রিসাইজ ও রিনেম করে নিতে হবে।
URL Structure :
সার্চ ইঞ্জিনের ক্রলিং এর রেজাল্ট থেকে ভালো ভিজিটর পেতে Properly Formatted URL বেছে নেওয়া জরুরী। URL যদি টার্গেট Keyword দ্বারা তৈরি হয়, তাহলে এসইওতে ভালো ফলাফল পাবেন।
নিচের উদাহরণটি ফলো করুন ।
অপটিমাইজ URL নয় :
http://www.example.com/12345
সার্চ ইঞ্জিনের রেজাল্টে এ রকম url থেকে ভিজিটর বুঝতে পারবে না পোষ্টটি কি ধরনের হতে পারে।
অপটিমাইজ URL :
http://www.example.com/seo-tricks/12345
সার্চ ইঞ্জিনের রেজাল্টে এ রকম URL থেকে ভিজিটর বুঝতে পারবে আপনার পোষ্টটি এসইও এর উপর।
ফলে, ভিজিটর সাইটে প্রবেশ করার আগ্রহ অনেকাংশ বেড়ে যাবে।
XML sitemaps তৈরি করা : এই প্রশ্নের উত্তর টি দেখুন।