VCI
VCI এর পূর্ণ রূপ হল Virtual Channel Identifier(ভার্চুয়াল চ্যানেল আইডেন্টিফায়ার)। একে VPI (virtual path indicator) এর মত করে ব্যবহার করা যায় যা দ্বারা কোন একটি নেটওয়ার্কে ATM সেল দ্বারা ভ্রমণ করাকেই নির্দেশ করে। ATM(Asynchronous transfer mode) এর মাধ্যমে খুব সহজে TCP/IP প্রটোকলে ডাটা ট্রান্সফার করা যায়। ATM সেল সমৃদ্ধ VCI একটি নির্দিষ্ট চ্যানেলকে নির্দেশ করে যেখানে বিভিন্ন তথ্যপ্যাকেট আকারে পাঠানো হয়। এটি ১৬ বিট সমৃদ্ধ একটি ফিল্ড যেখানে VPI মাত্র ৮ বিটের একটি ফিল্ড। এই সাংখ্যিক বিটের হিসাব VCI তে প্যাকেট তথ্যের লোকেশানগুলোকে প্রকাশ করে। এই VCI অন্যান্য তথ্যগুলোকে নেটওয়ার্কে প্রবেশে বাধা প্রদান করে।
VoIP
VOIP(ভিওআইপি) এর পুর্ণরূপ “ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রটোকল”( “Voice Over Internet Protocol”)। VOIP(ভিওআইপি) মূলত একপ্রকার টেলিফোন সংযোগ যা ইন্টারনেটের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। VOIP(ভিওআইপি) তে ডাটা প্রেরণের জন্য সাধারণ টেলিফোন লাইনের পরিবর্তে ইন্টারনেট প্রটোকল ব্যবহার করা হয়। সাধারণত VOIP(ভিওআইপি) এর মাধ্যমে ডিজিটাল ডাটা প্রেরণ করা হয়। ভিওআইপি ব্যবহার করে সাধারন টেলিফোন লাইনের চেয়ে অনেক কম খরচে পৃথিবীর যেকোন প্রান্তে কথা বলা যায়। VOIP(ভিওআইপি) ব্যবহারের জন্য প্রথমত কম্পিউটার, ইন্টারনেট সংযোগ, VOIP(ভিওআইপি) সফটওয়্যার এর প্রয়োজন হবে। এছাড়া মাইক্রোফোন, অ্যানালগ টেলিফোন অ্যাডাপ্টর অথবা ভিওআইপি টেলিফোনের প্রয়োজন হয়। কিছু কিছু VOIP(ভিওআইপি) প্রোগ্রাম আপনাকে মাইক্রোফোন,স্পিকার সেটআপ ব্যবহার করার সুযোগ দেয়। অন্যন্য ক্ষেত্রে VOIP(ভিওআইপি) টেলিফোন ব্যবহার করতে হয় যা ইউএসবি এর সাহায্যে কম্পিউটারের সাথে যুক্ত থাকে।
VOIP(ভিওআইপি) টেলিফোন অনেকটা সাধারণ টেলিফোনের মত। অ্যানালগ টেলিফোন অ্যাডাপ্টর সাধারণ টেলিফোনকে কম্পিউটারের সাথে যুক্ত করে। আইপিফোন আরেকটি অপশন যা ইথারনেট এর মাধ্যমে রাউটারের সাথে যুক্ত থাকে। আইপিফোনে ভিওয়াইপি এর জন্য প্রয়োজনীয় প্রোগ্রাম আগে থেকে সেট করা থাকে। এক্ষেত্রে কম্পিউটারের প্রয়োজন হয় না। সবচেয়ে বড় ভিওআইপি সার্ভিস প্রোভাইডার হচ্ছে Vonage। Vonage ব্যবহার করার জন্য প্রতিমাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদান করতে হয়। এছাড়া skype, peerme এর মত কিছু ফ্রি প্রোগ্রাম রয়েছে। তবে ফ্রি প্রোগ্রাম গুলোতে নিম্ন অডিও কোয়ালিটি সহ বিভিন্ন সমস্য থাকে। ভিওআইপি ডিজিটাল ফোন,আইপি টেলিফোন নামে পরিচিত।
VPN
VPN এর পুর্ণরূপ হচ্ছে ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক(“Virtual Private Network”)। ইন্টারনেট বা কোন অনিরাপদ নেটওয়ার্কে কোন প্রাইভেট LAN এর সাথে যুক্ত হওয়ার নিরাপদ পদ্ধতি হচ্ছে VPN। VPN এ সাধারনত এনক্রিপশনের( encryption) মাধ্যমে ডাটা আদান প্রদান করা হয়। VPN এ কোন অনিবন্ধিত ইউজার প্রবেশ করতে পারে না এবং এনক্রিপশন( encryption) করার কারণে বাইরের কোন ইউজার VPN এ আদানপ্রদানকৃত ডাটা পড়তে পারে না। তাই একে প্রাইভেট নেটওয়ার্ক বলে। সাধারণত বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো VPN ব্যবহার করে। যেমন কোন একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির বিভিন্ন শহরে অবস্থিত শাখা অফিসে ইন্টারনেট এর মাধ্যমে তথ্য আদান প্রদান করতে হয়। যা সাধারনত নিরাপদ নয়। এই তথ্য আদান প্রদানকে নিরাপদ করার জন্য তারা VPN ব্যবহার করে।