সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, পর্নোগ্রাফিতে পুরুষদের চেয়ে মহিলাদের আগ্রহ বেশি। একটি অনলাইন সমীক্ষায় এমন তথ্যই প্রকাশ পেয়েছে। নারীরা পর্নোগ্রাফিতে এই আসক্তি বাড়ার কারণ কি হতে পারে কিংবা অন্যান্য বিনোদনের চেয়ে মহিলাদের নীল ছবি দেখার মধ্যে এতো প্রবণতা কেন বেশি ?
গবেষণায় সে বিষয় নিয়ে বেশ কিছু চমকতাবে তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। একটি বিখ্যাত ব্রিটিশ সেক্স টয় প্রস্তুতকারক সংস্থা এই সমীক্ষা কাজ চালিয়েছে।
সমীক্ষায় বলা হয়েছে, শতকরা আট ভাগ মহিলা অনলাইনে পর্নোগ্রাফি দেখে থাকে এবং তারা বেশিভাগ ক্ষেত্রে একা একা পর্নোগ্রাফি দেখতে পছন্দ করে।
সমীক্ষায় আরো দেখা গিয়েছে যে, বেশিরভাগ মহিলারা পর্নোগ্রাফি দেখলে তারা তা স্বীকার করেন না। যারা স্বীকার করেছেন তাদের সংখ্যাটা একবারে কম।
মাত্র ৩০০ জন নারী নিয়ে পর্নোগ্রাফি নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেন। আলোচনা ওই মহিলারা জানিয়েছেন, তারা কেন পর্নোগ্রাফিকে এতো ভালোবাসে এবং উপভোগ করেন।
এ রকম পাঁচটি কারণ নিচে দেওয়া হলো-
১। যেসব দম্পতি বা জুটি প্রথম সপ্তাহে একদিন পর্নোগ্রাফি দেখে, তারা তুলনামূলক বেশি সুখী জীবন লাভ করে। শতকরা ৫৮ শতাংশ নারী তাঁর সঙ্গীর সঙ্গে এই ধরনের ছবি দেখতে পছন্দ ভালবাসে এবং দেখার পরে তারা বলেছে যে , পর্ন দেখার পর তাদের সম্পর্ক পূর্বের চেয়ে ভালো হয়েছে। সঙ্গীর সঙ্গে শয্যায় যাওয়ার আত্মবিশ্বাসকে বাড়িয়ে তোলেন প্রাপ্তবয়স্কদের ছবিগুলো।
২। যেসব নারীরা নীল ছবি দেখে, সেসব নারীরা মনে করেন, পর্ন দেখা পরে তার সঙ্গীর সঙ্গে প্রতারণার শিখার হয় না।
বিশ্বাসভঙ্গের কোন কাজেই নাকি আগ্রহ বাড়ায় না পর্নোগ্রাফি।
৩। নীল ছবি দেখা বেশিরভাগ আগ্রহী নারীরা মনে করেন, এই ছবি দেখার ফলে তাদের মধ্যে কোন প্রকার হতাশা সৃষ্টির কাজ করে না। ২৩ শতাংশ নারীরা মনে করে, পর্ন তাদের মনকে সতেজ করে। রিপোর্টে এটাও বলা আছে, যারা পর্নোগ্রাফি দেখে পরের দিন অঙ্ক পরীক্ষা দেয়, তাদের মধ্যে শতকরা ৫০ শতাংশের ভালো হয়।
৪। প্রায় ৪০ শতাংশ নারী পর্নোগ্রাফি দেখার পর, তাদের বর্তমান সঙ্গীর প্রতি অতিরিক্ত ভালবাসার টান অনুভব করে। ফলে, তারা বেশি আনন্দ পান।
৫। তবে, ৫৭ শতাংশ নারীই একা একা পর্নোগ্রাফি দেখে উপভোগ করতে পছ্ন্দ করে।
এক্ষেত্রে যাদের বয়স ১৮ থেকে ২৪, বেশি তারা এগিয়ে রয়েছে।