একটা ছেলের প্রতি একটা মেয়ের আকর্ষণ থাকবে অথবা একটা মেয়ের প্রতি একটা ছেলের আকর্ষণ থাকবেই,এটাই স্বাভাবিক । যদি করো মাঝে এই feel না থাকে তবে সে ছেলে,মেয়ে কোনটিই না।কাউকে ভালো লাগলে তার প্রতি আকর্ষণ জন্মায়।আর এই আকর্ষণকে অধিকারে রুপান্তরের নামই ভালবাসা। এই অধিকারটা বিয়ের আগে বা পরে যেকোনো সময় ঘটতে পারে। আসুন আমরা আলোচনা করি, বিয়ের আগের অবস্থা নিয়ে। আগেই বলে রাখি,যেহেতু এটা হারাম,তাই শয়তানের প্ররচনা থাকবেই।এখন ভাবি,বিয়ের আগে এই অধিকারটা জন্মাল দুটি মনেই। তারা পরস্পর মাঝে এই অধিকার স্বীকৃত করল। সাথে সাথে শয়তানের প্ররচনা বেড়ে গেল। এরপর তারা তাদের অধিকার বাড়াতে বাড়াতে ভাবলো আমাদের এই অধিকার, কথা বলার মধ্যে না রেখে,এই অধিকার বিছানা পর্যন্ত নিয়ে যাই।ইসলামে যেটা যিনা নামে পরিচিত। এ বেপারে আল্লাহ্ বলেছেনঃ
“বেভিচারি পুরুষ কেবলবেভিচারিনী নারী অথবা মুশরিক নারীকে বিয়ে করে এবং বেভি চারিনীকে কেবল বেভাচারি অথবা মুশরিক পুরুষ বিয়ে করে এবং এদের কে মুমিন দের জন্য হারাম করা হয়েছে ।(সুরা আননুর-৩৩)”
আর যারা এটা like করে ,তাদের বেপারে বলা হয়েছেঃ
“যারা পছন্দ করে যে ঈমানদার দের মধ্যে বেভিচার প্রসার লাভকরুক,তাদের জন্য ইহকাল ও পরকালে যন্ত্রনা দায়কশাস্তি রয়েছে,আল্লাহ্ জানেন ,তোমরা জাননা।(সুরা আন নুর-১৯)”
আপনি নিশ্চই ওই মেয়ের বাবা বা ভাই হয়ে ,যেনা করাটা মেনে নেবেন না।আমার ছোটো বড়ো ভাই ও বন্ধু যারা ভাবেন যেঃ আমরা প্রেম করলেও দুজনে ওই কাজটা মানে যিনা করবো না। আমরা পর্দা মানি। ৫ বার নামাজ পড়ি।তাদের জন্য আক্তি আদর্শ হাদিসঃ
“একজন বড়পাদ্রি ছিল ।সে অনেক ধার্মিক ছিল। কোনো এক যুদ্ধ এ দুজন বড় ভাই ওই পাদ্রীর কাছে এসে বলল দেখুন আমরা যুদ্ধে যাচ্ছি,আমাদের বোনকে দেখার কেউ নাই।পাদ্রী এতে অসম্মতি জানায়।এমন সময় শয়তান পাদ্রিকে কে বলে একটা মেয়ে বিপদে পড়ছে তুমি তাকে সাহায্য করবা না, এটা কিছু হইলো ।অতঃপর পাদ্রী রাজি হল। সে বলল আপনাদের বোনকে দুরের ওই ঘরে রেখে যান।এরপর পাদ্রী প্রতিদিন ওই ঘরে খাবার দিয়ে,কথা না বলে , চলে আসতো ।আবার শয়তান আবারো এসে বলল মেয়েটা একা থাকে,তুমি তার সাথে একটু কথা বললেই পার।অতঃপর পাদ্রী কথা বলতে শুরু করলো। আস্তে আস্তে পাদ্রী মেয়েটির খুব কাছা কাছি চলে গেল। এক সময় মেয়েটির পেটে বাচ্চা আসলো।শয়তান এবার বলল তুমি এটা কি করলে,এখন সবচেয়ে ভাল উপায় হল মেয়েটিকে মেরে ফেলা ।পাদ্রী তাই করল।মেরে ওই ঘরেই কবর দিল। যখনমেয়ে টির দুই ভাই যুদ্ধো থেকে ফিরে আসলো তখন পাদ্রী বলল মেয়েটি অসুখে মারা গেছে।রাত্রে শায়তান মেয়েটির ভাইকে সপ্নে দেখাল মেয়েটিকে যে ঘরে রেখে গিয়েছিল সেই ঘরেই মারা হয়েছে । কবর খুড়ে সেই সত্ততা পাওয়া গেলো। এবার পাদ্রীকে ধরা হলো এবং তার deathsentence দেয়া হল।এবার শয়তান এসে বলল আমি তো তোমাকে বিপদে ফেলেছি,আমার কাছে সাহায্য চাও ।পাদ্রি আবার ও শয়তানের কাছে সাহায্য চাইলো। এবার শয়তান হাসতে হাসতে বলল,অবশেষে আমি তোমাকে কাফির বানাতে পেরেছি।“ আরও বলা হল ;ভাইয়া আমি এমন অনেককে দেখেছি যারা প্রেম করা সত্তেও যিনা করে নি। এই প্রশ্নের উত্তর অনেক সহজ …শুধু একটা পরিসংখ্যান ঘাটিঃমনে করলাম ঃ যারা প্রেমকরে,কিন্তু যিনা করে নি ,তাদের সংখ্যা ৭০%।এদের মধ্যে ১০% বিয়ের পীড়িতে বসেছে।এবার ,এই ১০% এর মধ্যে ৮% ওই পর্দার খেলাফ করেছে এবং হাত ধরা চুমু খওয়া ,যা কিনা এক প্রকার যিনা,সেটা তারা করেছে বিয়ের আগে।বাকী ২% মেয়ে ছেলে আছে (এইব্যাপারে সন্দেহ আছে ,এই ২%আসলে পৃথিবীতে আছে কিনা ,আমার জানা নাই)যারা শুধু মনে মনে একজন কে ভালবাসে ,অতঃপর কার মাধ্যমে প্রস্তাব দিয়ে বিয়া হয়েছে।অর্থাৎ ২% আজকাল কার দিনের প্রেমের সংজ্ঞায় পরে না। তাহলে বিয়ে করার সময় একজন আরেক জনকে না দেখেই বিয়ে করবে?
ইসলামের আলোকে সুন্দর ব্যাক্ষাটা দেয়ার চেস্টা করিঃ আপনি যাকে বিয়ে করবেন তার সম্পর্কে আপনি জানবেন। এই অনুমতি ইসলাম দিয়েছে। আপনি ওই মেয়ে বা ছেলেকে জানার জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা কথা বলতে পারেন কিন্তু একজন (ত্রিতিয় ব্যাক্তি) যাকে বিবাহ করা হারাম তাকে রাখতে হবে।কারন আপনি এতে উগ্র কথা বলতে পারবেন না।তাহলে আমরা কিভাবে চলবো…ইসলাম এর সমাধান দিয়েছে। ১-১তম বেপারটা হল পর্দা।এটা অনেকে জানে ,তাই আলচনার পরিধি বাড়াবো না।
২-আল্লাহ রাসুল(সাঃ) বলেছেনঃ“যার সাথে বিবাহ হারাম নয় এই রকম কোন নারির সাথে একাকী অবস্থান নিষেধ,অনুরুপ বিবাহ হারাম নয় এই রকম পুরুষের সাথে একাকি অবস্থানও নিষেধ ,কেননা সেখানে শয়তান third person হিসেবে থাকে।“(সাহীহ মুসলিম)
আমার কথাঃ আমি যাকে ভালবাসি,তার সাথে বিয়ের আগে প্রেম
করে ইসলামের দৃষ্টিতে তাকে বিপদে ফেলা ,এটা ভালবাসা হতে পারে না।