পেরিস্কোপ এক ধরনের দৃষ্টিগোচরীভূত যন্ত্র যা কোন গুপ্তস্থানে অবস্থান করে ব্যক্তি কর্তৃক কোন নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুকে পর্যবেক্ষণ করা যায়। সাধারণতঃ এ যন্ত্রের প্রধান উপকরণ হচ্ছে - আয়না, চোখ দিয়ে দেখার উপযোগী ল্যান্স, আলো পৌঁছানোর প্রয়োজনীয় রাস্তাসহ বাহ্যিক বা ভৌত অবকাঠামো। আলো পৌঁছানোর জন্যে কমপক্ষে দুইটি সরল ৪৫০ কৌণিক অবস্থান নির্ধারণ করা প্রয়োজন। শীর্ষভাগে রক্ষিত আয়না আলো গ্রহণ করে নিম্নের আয়নায় প্রেরণ করে। পেরিস্কোপের সাহায্যে একজন পর্যবেক্ষণকারী প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ এ পর্যবেক্ষণের উদ্দেশ্যে পরীক্ষায় ব্যবহার করা হতো। সামরিক বাহিনীর সদস্যরা ট্যাংকে ও অস্ত্রশস্ত্রসজ্জিত গাড়ীতে পেরিস্কোপ ব্যবহার করতো।
যুদ্ধকালীন সময়ে ডুুুুবোজাহাজ কিংবা পরীখার অভ্যন্তরে থেকে প্রতিপক্ষের অবস্থান নিশ্চিত করতে এর ব্যবহারের জুড়ি মেলা ভার। সাবমেরিন এ ব্যবহৃত পেরিস্কোপ বেশ জটিল প্রকৃতির। একগুচ্ছ ল্যান্স, দুইটি টেলিস্কোপ এবং আয়নার পরিবর্তে প্রিজম দিয়ে বস্তুর অবস্থান নিশ্চিত করা হয়। আধুনিককালের সাবমেরিনে ব্যবহৃত পেরিস্কোপের গঠনপ্রক্রিয়া আরো সরলতম যার দুইদিকে দুইটি টেলিস্কোপ বসানো হয়। যদি কোন কারণে দুই টেলিস্কোপ ভিন্নভাবে থাকে, তাহলে তাদের মধ্যকার পার্থক্যগুলো সঙ্কুচিত করার মাধ্যমে কার্যোপযোগী করা হয়।