আস্ক প্রশ্নে আপনাকে স্বাগতম ! এটি একটি প্রশ্নোত্তর ভিত্তিক কমিউনিটি। এই সাইট সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন ...
650 বার প্রদর্শিত
"ইসলাম ধর্ম" বিভাগে করেছেন (196 পয়েন্ট) 60 223 231

2 উত্তর

0 পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন (8,268 পয়েন্ট) 92 543 689
প্রথমেই একটি হাদীসের দিকে দৃষ্টি বুলিয়ে নেই। হাদীসটি হল- ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﻗﺎﻝ : ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ﺇﺫﺍ ﺃﻗﻴﻤﺖ ﺍﻟﺼﻼﺓ ﻓﻼ ﺻﻼﺓ ﺇﻻ ﺍﻟﻤﻜﺘﻮﺑﺔ হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যখন নামায শুরু হয়, তখন ফরজ নামায ছাড়া আর কোন নামায পড়া জায়েজ নয়। {সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-৪২১}
এবার ফজরের সুন্নাতের ব্যাপারে বর্ণিত কয়েকটি হাদীসের দিকে দৃষ্টি দেই। যেমন- ﻋﻦ ﻋﺎﺋﺸﺔ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﺎ ﻗﺎﻟﺖ : ﻟﻢ ﻳﻜﻦ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ﻋﻠﻰ ﺷﻲﺀ ﻣﻦ ﺍﻟﻨﻮﺍﻓﻞ ﺃﺷﺪ ﻣﻨﻪ ﺗﻌﺎﻫﺪﺍ ﻋﻠﻰ ﺭﻛﻌﺘﻲ ﺍﻟﻔﺠﺮ হযরত আয়শা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ফজরের দুই রাকাত সুন্নাত এর মত কোন নফল নামাযকে এত হিফাযত ও গুরুত্ব প্রদানকারী ছিলেন না। {সহীহ বুখারী, হাদীস নং-১১১৬, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-২৪৬৩}
ﻋﻦ ﻋﺎﺋﺸﺔ ﻋﻦ ﺍﻟﻨﺒﻰ - ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ - ﻗﺎﻝ ‏« ﺭﻛﻌﺘﺎ ﺍﻟﻔﺠﺮ ﺧﻴﺮ ﻣﻦ ﺍﻟﺪﻧﻴﺎ ﻭﻣﺎ ﻓﻴﻬﺎ হযরত আয়শা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ দুনিয়া ও তাতে যা কিছু আছে তা থেকে ফজরের দুই রাকাত উত্তম। {সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৭২১, তাহাবী শরীফ, হাদীস নং-১৬৫০, সহীহ ইবনে খুজাইমা, হাদীস নং-১১০৭}
ﻋﻦ ﺃﺑﻰ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻗﺎﻝ ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ : ﻻ ﺗﺘﺮﻛﻮﺍ ﺭﻛﻌﺘﻲ ﺍﻟﻔﺠﺮ ﻭﻟﻮ ﻃﺮﺩﺗﻜﻢ ﺍﻟﺨﻴﻞ হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ অশ্বারোহী বাহিনী তোমাদের পশ্চাদ্ধাবন করলেও তোমরা ফজরের দুই রাকাত [সুন্নত] ছেড়ো না। {তাহাবী শরীফ, হাদীস নং-১৬৪৭, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-১২৬০, সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-৪২৫৭, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৯২৫৩}
ফজরের ফরজের আগে দুই রাকাত নামায সুন্নত। এ দুই রাকাত সুন্নত আদায়ের ক্ষেত্রে রাসুল সাঃ কী পরিমাণ গুরুত্বারোপ করেছেন তা আমরা উপরোক্ত কয়েকটি হাদীস থেকে স্পষ্টই বুঝতে পারছি। এরকম তাকীদ আর কোন সুন্নত নামাযের ক্ষেত্রে রাসূল সাঃ করেননি। যা বুখারীতে বর্ণিত হযরত আয়শা রাঃ এর হাদীস দ্বারা স্পষ্ট। আর আমরা একথাও ভাল করেই জানি যে, প্রতিটি বস্তু তার ঠিক সময়ে আদায় করাই উক্ত ইবাদতের দাবি। ফজরের দুই রাকাত আদায়ের সময় হল ফজরের ফরজ পড়ার আগে। তাই সে হিসেবে উপরে বর্ণিত ফজরের সুন্নত পড়ার তাকিদ সম্বলিত হাদীস সুনিশ্চিতভাবেই ফজরের ফরজ পড়ার আগে পড়ার জন্যই বলা হয়েছে।
এখন প্রশ্ন হল রাসূল সাঃ তো ফরজ নামায দাঁড়িয়ে গেলে কোন নামায পড়তে নিষেধ করেছেন। তাহলে ফজরের সুন্নত না পড়া অবস্থায় জামাত দাঁড়িয়ে গেলে গুরুত্বপূর্ণ ফজরের সুন্নত এর কি করবে? যেটি আসল আদায়ের সময় হল ফজরের ফরজ পড়ার আগে। এখনতো জামাতই দাঁড়িয়ে গেল। এখন করণীয় কি? এ ব্যাপারে রাসূল সাঃ থেকে সরাসরি কোন কিছুই আমরা পাই না। গুরুত্বপূর্ণ ফজরের সুন্নত যথাসময়ে আদায় করে জামাতে শরীক হবে? না আগে জামাত পড়ে তারপর সুন্নাত পড়বে? এর কোন সমাধান রাসূল সাঃ থেকে প্রমানিত নয়। এক্ষেত্রে আমাদের করণীয় কি? এক্ষেত্রে আমাদের করণীয় হল রাসুল সাঃ এর হাদীস শুনেছেন সাহাবাগণ। সাহাবাদের মাধ্যমে আমরা হাদীস পেয়েছি। সাহাবাগণ রাসূল সাঃ থেকে সরাসরি কথা শুনেছেন। স্বচক্ষে রাসূল সাঃ এর আমল দেখেছেন।
তাই এক্ষেত্রে আমাদের কাছে সাহাবাগণ কর্তৃক সমাধান ছাড়া দ্বিতীয় কোন পথ নেই। আমরা দেখতে পাই সাহাবাগণের মাঝে রাসূল সাঃ এর কাছের ও ফক্বীহ সাহাবাগণের অন্যতম হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাঃ, রঈসুল মুফাসসিরীন হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাঃ, হযরত আবু দারদা রাঃ, রাসূল সাঃ এর একনিষ্ট ভক্ত ও প্রতিটি কাজের একনিষ্ট অনুসারী হযরত আব্দুল্লাহ বিন ওমর রাঃ সহ অনেক সাহাবী ফজরের সুন্নত না পড়া অবস্থায় নামায দাঁড়িয়ে গেলেও আগে সুন্নত পড়ে, তারপর ফরজে শরীক হতেন। যেহেতু আমরা রাসূল সাঃ এর নামায সচক্ষে দেখিনি। তাই রাসূল সাঃ এর হাদীস আমরা যাদের মাধ্যমে পেলাম তাদের আমল এর কারণে বলে থাকি যে, ফজরের দুই রাকাত সুন্নত জামাত শুরু হলেও পড়ে নিতে হবে যদি নামায পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যদি সম্ভাবনা না থাকে, তাহলে সুন্নত বাদ দিয়ে ফরজ পড়ে নিবে।
এ আমল আমাদের বের করা নয়। সাহাবাগন কর্তৃক আমল করা আমল। তাই আমরা নিজেদের বুঝ ও সমঝের উপর নির্ভর না করে সাহাবাগণের বুঝ ও সমঝের উপর নির্ভর করেছি। নিম্নে প্রসিদ্ধ সাহাবাগণের আমল উদ্ধৃত করা হল। হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাঃ এর আমল ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﻦ ﺃﺑﻰ ﻣﻮﺳﻰ ﻋﻦ ﺃﺑﻴﻪ : ﺣﻴﻦ ﺩﻋﺎﻫﻢ ﺳﻌﻴﺪ ﺑﻦ ﺍﻟﻌﺎﺹ ﺩﻋﺎ ﺃﺑﺎ ﻣﻮﺳﻰ ﻭﺣﺬﻳﻔﺔ ﻭﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﻦ ﻣﺴﻌﻮﺩ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﻢ ﻗﺒﻞ ﺃﻥ ﻳﺼﻠﻰ ﺍﻟﻐﺪﺍﺓ ﺛﻢ ﺧﺮﺟﻮﺍ ﻣﻦ ﻋﻨﺪﻩ ﻭﻗﺪ ﺃﻗﻴﻤﺖ ﺍﻟﺼﻼﺓ ﻓﺠﻠﺲ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﻰ ﺃﺳﻄﻮﺍﻧﺔ ﻣﻦ ﺍﻟﻤﺴﺠﺪ ﻓﺼﻠﻰ ﺍﻟﺮﻛﻌﺘﻴﻦ ﺛﻢ ﺩﺧﻞ ﻓﻲ ﺍﻟﺼﻼﺓ ﻓﻬﺬﺍ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﻗﺪ ﻓﻌﻞ ﻫﺬﺍ ﻭﻣﻌﻪ ﺣﺬﻳﻔﺔ ﻭﺃﺑﻮ ﻣﻮﺳﻰ ﻻ ﻳﻨﻜﺮﺍﻥ ﺫﻟﻚ ﻋﻠﻴﻪ ﻓﺪﻝ ﺫﻟﻚ ﻋﻠﻰ ﻣﻮﺍﻓﻘﺘﻬﻤﺎ ﺇﻳﺎﻩ ‏( ﺷﺮﺡ ﻣﻌﺎﻧﻰ ﺍﻷﺛﺎﺭ، ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﺼﻼﺓ، ﺑﺎﺏ ﺍﻟﺮﺟﻞ ﻳﺪﺧﻞ ﺍﻟﻤﺴﺠﺪ ﻭﺍﻹﻣﺎﻡ ﻓﻲ ﺻﻼﺓ ﺍﻟﻔﺠﺮ ﻭﻟﻢ ﻳﻜﻦ ﺭﻛﻊ ﺃﻳﺮﻛﻊ ﺃﻭ ﻻ ﻳﺮﻛﻊ، ﺭﻗﻢ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ - 2037
আব্দুল্লাহ বিন মুসা তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন যে, একদা সাঈদ বিন মুসা হযরত আবু মুসা আশআরী রাঃ, হযরত হুযায়ফা রাঃ এবং হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাঃ কে ডাকলেন ফজরের নামাযের আগে। তারপর তারা বের হলেন তার [সাঈদ বিন মুসা রাঃ] নিকট থেকে এমতাবস্থায় যে, [ফজরের] নামায দাঁড়িয়ে গেছে। তখন আব্দুল্লাহ মসজিদের এক স্তম্ভের কাছে বসে গেলেন। তারপর দুই রাকাত [ফজরের সুন্নাত] নামায পড়লেন। তারপর নামাযে [ফরজের জামাতে] শরীক হলেন। আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাঃ একাজটি করলেন। সাথে ছিলেন হুযায়ফা ও আবু মুসা রাঃ। কিন্তু তাদের কেউ এটা বারন করেননি। সুতরাং এটি প্রমাণ বহন করে যে, তারাও এতে রাজি ছিলেন। {তাহাবী শরীফ, হাদীস নং-২০৩৭}
ﻋﻦ ﺃﺑﻰ ﺇﺳﺤﺎﻕ ﻋﻦ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﻦ ﺃﺑﻰ ﻣﻮﺳﻰ ﻋﻦ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ : ﺍﻧﻪ ﺩﺧﻞ ﺍﻟﻤﺴﺠﺪ ﻭﺍﻹﻣﺎﻡ ﻓﻲ ﺍﻟﺼﻼﺓ ﻓﺼﻠﻰ ﺭﻛﻌﺘﻲ ﺍﻟﻔﺠﺮ ‏( ﺭﻗﻢ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ 2038- ) আব্দুল্লাহ বিন আবী মুসা আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি মসজিদে প্রবেশ করলেন এমতাবস্থায় যে, ইমাম সাহেব ছিলেন নামাযে, তখন তিনি [আগে] ফজরের দুই রাকাত [সুন্নত] পড়লেন। {তাহাবী শরীফ,
হাদীস নং-২০৩৮}
হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাঃ এর আমল ﻋﻦ ﺃﺑﻰ ﻣﺠﻠﺰ ﻗﺎﻝ : ﺩﺧﻠﺖ ﺍﻟﻤﺴﺠﺪ ﻓﻲ ﺻﻼﺓ ﺍﻟﻐﺪﺍﺓ ﻣﻊ ﺑﻦ ﻋﻤﺮ ﻭﺍﺑﻦ ﻋﺒﺎﺱ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﻢ ﻭﺍﻹﻣﺎﻡ ﻳﺼﻠﻰ ﻓﺄﻣﺎ ﺑﻦ ﻋﻤﺮ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﻤﺎ ﻓﺪﺧﻞ ﻓﻲ ﺍﻟﺼﻒ ﻭﺃﻣﺎ ﺑﻦ ﻋﺒﺎﺱ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﻤﺎ ﻓﺼﻠﻰ ﺭﻛﻌﺘﻴﻦ ﺛﻢ ﺩﺧﻞ ﻣﻊ ﺍﻹﻣﺎﻡ ‏( ﺭﻗﻢ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ 3029- আবী মিজলাস থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি ফজরের নামাযে একদা ইবনে ওমর রাঃ, ইবনে আব্বাস রাঃ এর সাথে মসজিদে প্রবেশ করলাম এমতাবস্থায় যে, ইমাম সাহেব নামায পড়াচ্ছিল। তখন ইবনে ওমর রাঃ কাতারে শামিল হয়ে গেলেন। আর ইবনে আব্বাস রাঃ দুই রাকাত [সুন্নত] পড়লেন। তারপর ইমামের সাথে নামাযে শরীক হলেন। {শরহু মাআনিল আসার, হাদীস নং-৩০২৯}
ﻋﻦ ﺃﺑﻰ ﻋﺜﻤﺎﻥ ﺍﻷﻧﺼﺎﺭﻱ ﻗﺎﻝ : ﺟﺎﺀ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﻦ ﻋﺒﺎﺱ ﻭﺍﻹﻣﺎﻡ ﻓﻲ ﺻﻼﺓ ﺍﻟﻐﺪﺍﺓ ﻭﻟﻢ ﻳﻜﻦ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﺮﻛﻌﺘﻴﻦ ﻓﺼﻠﻰ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﻦ ﻋﺒﺎﺱ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﻤﺎ ﺍﻟﺮﻛﻌﺘﻴﻦ ﺧﻠﻒ ﺍﻹﻣﺎﻡ ﺛﻢ ﺩﺧﻞ ﻣﻌﻬﻢ ﻭﻗﺪ ﺭﻭﻯ ﻋﻦ ﺑﻦ ﻋﻤﺮ ﻣﺜﻞ ﺫﻟﻚ আবু উসমান আলআনসারী থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস এমতাবস্থায় এলেন যে, ইমাম সাহেব ফজরের নামায পড়াচ্ছিলেন। আর তিনি ফজরের [সুন্নত] দুই রাকাত পড়েননি। তাই আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাঃ দুই রাকাত [সুন্নত] পড়লেন ইমামের পিছনে। তারপর তিনি ইমামের সাথে শরীক হলেন। ইবনে ওমর রাঃ এর ব্যাপারেও এমনি বর্ণিত। {তাহাবী শরীফ, হাদীস নং-২০৪০}
আব্দুল্লাহ বিন ওমর রাঃ এর আমল ﻧﺎﻓﻌﺎ ﻳﻘﻮﻝ : ﺃﻳﻘﻈﺖ ﺑﻦ ﻋﻤﺮ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﻤﺎ ﻟﺼﻼﺓ ﺍﻟﻔﺠﺮ ﻭﻗﺪ ﺃﻗﻴﻤﺖ ﺍﻟﺼﻼﺓ ﻓﻘﺎﻡ ﻓﺼﻠﻰ ﺍﻟﺮﻛﻌﺘﻴﻦ হযরত নাফে বলেনঃ আমি ইবনে ওমর রাঃ কে ফজরের নামাযের জন্য জাগালাম এমতাবস্থায় যে, ফজরের নামায জামাত দাঁড়িয়ে গেছে। তখন তিনি ফজরের দুই রাকাত [সুন্নত] পড়লেন। {শরহু মাআনিল আসার, হাদীস নং-২০৪২}
হযরত আবু দারদা রাঃ এর আমল ﻋﻦ ﺃﺑﻰ ﺍﻟﺪﺭﺩﺍﺀ : ﺃﻧﻪ ﻛﺎﻥ ﻳﺪﺧﻞ ﺍﻟﻤﺴﺠﺪ ﻭﺍﻟﻨﺎﺱ ﺻﻔﻮﻑ ﻓﻲ ﺻﻼﺓ ﺍﻟﻔﺠﺮ ﻓﻴﺼﻠﻰ ﺭﻛﻌﺘﻴﻦ ﻓﻲ ﻧﺎﺣﻴﺔ ﺍﻟﻤﺴﺠﺪ ﺛﻢ ﻳﺪﺧﻞ ﻣﻊ ﺍﻟﻘﻮﻡ ﻓﻲ ﺍﻟﺼﻼﺓ আবু দারদা থেকে বর্ণিত। তিনি মসজিদে প্রবেশ করলেন এমতাবস্থায় যে, লোকেরা ফজরের নামাযের কাতারে ছিল, [তথা নামায শুরু করে দিয়েছে] তখন তিনি ফজরের দুই রাকাত [সুন্নত] পড়লেন মসজিদের কিনারায়,তারপর লোকদের সাথে নামাযে শরীক হলেন। {তাহাবী শরীফ, হাদীস নং-২০৪৪}
হযরত ওমর রাঃ এর জমানায় সাহাবায়ে কেরামের আমল ﻋﻦ ﺃﺑﻰ ﻋﺜﻤﺎﻥ ﺍﻟﻨﻬﺪﻱ ﻗﺎﻝ : ﻛﻨﺎ ﻧﺄﺗﻲ ﻋﻤﺮ ﺑﻦ ﺍﻟﺨﻄﺎﺏ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻗﺒﻞ ﺃﻥ ﻧﺼﻠﻰ ﺭﻛﻌﺘﻴﻦ ﻗﺒﻞ ﺍﻟﺼﺒﺢ ﻭﻫﻮ ﻓﻲ ﺍﻟﺼﻼﺓ ﻓﻨﺼﻠﻰ ﺭﻛﻌﺘﻴﻦ ﻓﻲ ﺁﺧﺮ ﺍﻟﻤﺴﺠﺪ ﺛﻢ ﻧﺪﺧﻞ ﻣﻊ ﺍﻟﻘﻮﻡ ﻓﻲ ﺻﻼﺗﻬﻢ আবু উসমান আননাহদী থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, আমরা ওমর বিন খাত্তাব রাঃ এর কাছে এলাম ফজরের দুই রাকাত সুন্নাত পড়ার আগে। তখন তিনি নামাযরত ছিলেন। তখন আমরা মসজিদের শেষ মাথায় ফজরের দুই রাকাত [সুন্নত] পড়লাম। তারপর লোকদের সাথে নামাযে শরীক হলাম। {শরহু মাআনিল আসার, হাদীস নং-২০৪৬}
তাবেয়ী মাসরূক রহঃ এর আমল ﺍﻟﺸﻌﺒﻲ ﻳﻘﻮﻝ : ﻛﺎﻥ ﻣﺴﺮﻭﻕ ﻳﺠﻰﺀ ﺍﻟﻰ ﺍﻟﻘﻮﻡ ﻭﻫﻢ ﻓﻲ ﺍﻟﺼﻼﺓ ﻭﻟﻢ ﻳﻜﻦ ﺭﻛﻊ ﺭﻛﻌﺘﻲ ﺍﻟﻔﺠﺮ ﻓﻴﺼﻠﻰ ﺭﻛﻌﺘﻴﻦ ﻓﻲ ﺍﻟﻤﺴﺠﺪ ﺛﻢ ﻳﺪﺧﻞ ﻣﻊ ﺍﻟﻘﻮﻡ ﻓﻲ ﺻﻼﺗﻬﻢ শাবী থেকে বর্ণিত। মাসরূক লোকদের কাছে এমন সময় এলেন যখন তারা নামায পড়ছিল। তিনি সে সময় ফজরের দুই রাকাত [সুন্নত] পড়েন নি। তাই তিনি মসজিদে দুই রাকাত [সুন্নত] পড়লেন,তারপর লোকদের সাথে নামাযে শরীক হলেন। {তাহাবী শরীফ,হাদীস নং-২০৪৮}
তাবেয়ী হাসান বসরী রহঃ এর আমল ﻳﺰﻳﺪ ﺑﻦ ﺇﺑﺮﺍﻫﻴﻢ ﻋﻦ ﺍﻟﺤﺴﻦ : ﺃﻧﻪ ﻛﺎﻥ ﻳﻘﻮﻝ ﺇﺫﺍ ﺩﺧﻠﺖ ﺍﻟﻤﺴﺠﺪ ﻭﻟﻢ ﺗﺼﻞ ﺭﻛﻌﺘﻲ ﺍﻟﻔﺠﺮ ﻓﺼﻠﻬﻤﺎ ﻭﺍﻥ ﻛﺎﻥ ﺍﻹﻣﺎﻡ ﻳﺼﻠﻰ ﺛﻢ ﺍﺩﺧﻞ ﻣﻊ ﺍﻹﻣﺎﻡ ইয়াযিদ বিন ইবরাহীম হাসান [বসরী রহঃ} থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন যে, তুমি যদি এমতাবস্থায় মসজিদে প্রবেশ কর যে, তুমি ফজরের দুই রাকাত [সুন্নত] পড়নি, তাহলে তা পড় যদিও ইমাম নামায পড়াচ্ছে। তারপর ইমামের সাথে শরীক হও। {তাহাবী শরীফ, হাদীস নং-২০৫০}
আ ক ম আজাদ আস্ক প্রশ্ন ডটকমের সাথে আছেন সমন্বয়ক হিসাবে। বর্তমানে তিনি একজন শিক্ষক। আস্ক প্রশ্ন ডটকমকে বাছাই করে নিয়েছেন জ্ঞান আহরণ ও জ্ঞান বিতরণের মাধ্যম হিসাবে। ভবিষ্যতে একজন বক্তা ও লেখক হওয়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছেন। এই আশা পূর্ণতা পেতে সকলের নিকট দু'আপার্থী।
0 পছন্দ 2 জনের অপছন্দ
করেছেন (411 পয়েন্ট) 3 10 38
জামাতে সামিল হবেন।
করেছেন (8,268 পয়েন্ট) 92 543 689
ভাই! এ বিষয়ে ভালভাবে জেনেই ফতুওয়া দেওয়া উত্তম।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

1 উত্তর
01 জুন 2018 "অন্যান্য" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন At Munna (1,670 পয়েন্ট) 97 1315 1427
1 উত্তর
29 মে 2018 "ইসলাম ধর্ম" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Siddique (4,388 পয়েন্ট) 270 1550 1592
1 উত্তর
13 মে 2018 "ইসলাম ধর্ম" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন শামীম মাহমুদ (7,799 পয়েন্ট) 1006 2969 3067
2 টি উত্তর
01 জুন 2018 "অন্যান্য" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন At Munna (1,670 পয়েন্ট) 97 1315 1427

28,156 টি প্রশ্ন

29,682 টি উত্তর

3,147 টি মন্তব্য

3,918 জন সদস্য



আস্ক প্রশ্ন এমন একটি প্ল্যাটফর্ম, যেখানে কমিউনিটির এই প্ল্যাটফর্মের সদস্যের মাধ্যমে আপনার প্রশ্নের উত্তর বা সমস্যার সমাধান পেতে পারেন এবং আপনি অন্য জনের প্রশ্নের উত্তর বা সমস্যার সমাধান দিতে পারবেন। মূলত এটি বাংলা ভাষাভাষীদের জন্য একটি প্রশ্নোত্তর ভিত্তিক কমিউনিটি। বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার পাশাপাশি অনলাইনে উন্মুক্ত তথ্যভান্ডার গড়ে তোলা আমাদের লক্ষ্য।

  1. আবু উবাইদাহ

    50 পয়েন্ট

    0 উত্তর

    0 প্রশ্ন

  2. Apon

    50 পয়েন্ট

    0 উত্তর

    0 প্রশ্ন

  3. সালেহ

    50 পয়েন্ট

    0 উত্তর

    0 প্রশ্ন

  4. আল-আমিন সরকার

    50 পয়েন্ট

    0 উত্তর

    0 প্রশ্ন

  5. Adhora Akter

    50 পয়েন্ট

    0 উত্তর

    0 প্রশ্ন

শীর্ষ বিশেষ সদস্য

...