আস্ক প্রশ্নে আপনাকে স্বাগতম ! এটি একটি প্রশ্নোত্তর ভিত্তিক কমিউনিটি। এই সাইট সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন ...
188 বার প্রদর্শিত
"যৌন" বিভাগে করেছেন (-174 পয়েন্ট) 17 228 236

1 উত্তর

0 পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন (3,509 পয়েন্ট) 103 1055 1111
ডিম্বাণু বেরোনোর সময় ব্যথা হওয়া স্বাভাবিক নারীর প্রজনন অঙ্গগুলোর মধ্যে জরায়ু এবং দুটি ডিম্বাশয়ও অন্তর্ভুক্ত। বয়ঃসন্ধির পর থেকে মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়া (মেনোপোজ) পর্যন্ত গর্ভকাল ছাড়া প্রতিটি নারীর মাসিক চক্র চলতে থাকে। প্রতি মাসে একটির বেশি ডিম্বাণু বড় হতে থাকে এবং মাসের মাঝামাঝি সময়ে একটি পরিণত অবস্থায় স্ফুরিত হয়। ডিম্বাশয় থেকে বের হয়ে আসা ডিম্বাণুটি শুক্রাণু দ্বারা নিষিক্ত হলে ভ্রূণ তৈরি হয়, আর তা না হলে ডিম্বাণুটি ধীরে ধীরে অকার্যকর হয়ে মিলিয়ে যায়। আবার নতুন ডিম্বাণু বড় হতে থাকে। ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণুটি বের হওয়ার সময় কিছুটা তরল পদার্থ বের হয়ে আসে, যা তলপেটের ভেতরে পড়ে তীব্র ব্যথার অনুভূতি তৈরি করতে পারে। ডিম্বাণু বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শারীরিক কিছু পরিবর্তন দেখা দেয়। হরমোনের পরিবর্তনের কারণে যা কেউ কেউ রোগের উপসর্গ মনে করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে থাকেন। ডিম্বাণু বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যোনিপথে পিচ্ছিল জাতীয় স্রাবের পরিমাণ বেড়ে যায়—এটা শরীরের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কয়েক দিনের মধ্যেই এই স্রাবের মাত্রা ধীরে ধীরে কমে আসে। এ জন্য চিকিৎসার প্রয়োজন নেই। স্রাবের সঙ্গে যদি চুলকানি বা প্রদাহ থাকে, তবেই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া প্রয়োজন। এ সময়ে আরও একটি কারণে ভয় পেয়ে মহিলারা চিকিৎসকের কাছে যান, তা হলো, ওভুলেশন পেইন অর্থাৎ ডিম ফোটার ব্যথা। মাসিক শুরু হওয়ার দিন থেকে হিসাব করে চতুর্দশ দিনে সাধারণত ডিম্বাণুু ডিম্বাশয় থেকে বের হয়ে আসে। যাঁদের মাসিক অনিয়মিত, তাঁদের প্রতি মাসে ডিম্বাণুর স্ফুরণ নাও হতে পারে; তাই তাদের কোনো মাসে ব্যথা হতে পারে আবার কোনো মাসে এই ব্যথা নাও হতে পারে। যাঁরা জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি খান, তাঁদের ডিম্বাণু বড় হয় না। তাই তাঁদের এই ব্যথা হয় না। স্বাভাবিক ক্ষেত্রেও অনেক মহিলা ব্যথা অনুভব করেন না। ডিম্বাণু স্ফুরণের সময় হঠাৎ করে তীব্র ব্যথা তলপেটের যেকোনো এক পাশে শুরু হয়ে পুরো তলপেটে এমনকি প্রস্রাব-পায়খানার রাস্তা পর্যন্ত ছড়িয়ে যেতে পারে। বসতে, হাঁটতে বা রিকশায় চলাচল করতে কষ্ট হতে পারে। এ অবস্থায় ব্যথা তীব্র হলে একটি বা দুটি প্যারাসিটামল খেলেই ব্যথা সেরে যায়। কোনো ওষুধ না খেলেও দু-তিন দিনের মধ্যেই তা সেরে যায়। ব্যথার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের তাপমাত্রাও একটু বাড়তে পারে। ভয়ের কোনো কারণ নেই। এই তাপমাত্রার পরিবর্তন হরমোনের পরিবর্তনের জন্য। এ ধরনের ব্যথা বিবাহিত-অবিবাহিত যে কারোরই হতে পারে। কাজেই ঘাবড়াবেন না। মাসিক চক্রের মাঝামাঝি সময়ে অতিরিক্ত সাদা স্রাব এবং হঠাৎ তলপেটে ব্যথা হলে ওভুলেশন পেইন এবং ওভুলেশনকালীন শারীরিক পরিবর্তনের কথা মাথায় রাখুন। একজন নারী হিসেবে আপনার নিয়মিত ডিম্বাণু তৈরি হচ্ছে জেনে খুশি হন। collected

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

1 উত্তর
05 জুলাই 2018 "যৌন" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন KAMAL (31 পয়েন্ট) 19 61 67
1 উত্তর
30 জুন 2018 "যৌন" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন অজ্ঞাতকুলশীল
1 উত্তর

28,156 টি প্রশ্ন

29,682 টি উত্তর

3,147 টি মন্তব্য

3,935 জন সদস্য



আস্ক প্রশ্ন এমন একটি প্ল্যাটফর্ম, যেখানে কমিউনিটির এই প্ল্যাটফর্মের সদস্যের মাধ্যমে আপনার প্রশ্নের উত্তর বা সমস্যার সমাধান পেতে পারেন এবং আপনি অন্য জনের প্রশ্নের উত্তর বা সমস্যার সমাধান দিতে পারবেন। মূলত এটি বাংলা ভাষাভাষীদের জন্য একটি প্রশ্নোত্তর ভিত্তিক কমিউনিটি। বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার পাশাপাশি অনলাইনে উন্মুক্ত তথ্যভান্ডার গড়ে তোলা আমাদের লক্ষ্য।

  1. Website

    50 পয়েন্ট

    0 উত্তর

    0 প্রশ্ন

  2. শারমিন

    50 পয়েন্ট

    0 উত্তর

    0 প্রশ্ন

  3. MD Rashed Ahmed

    50 পয়েন্ট

    0 উত্তর

    0 প্রশ্ন

  4. মোঃ শাওন ইসলাম

    50 পয়েন্ট

    0 উত্তর

    0 প্রশ্ন

  5. মুহা.ইয়াকুব

    50 পয়েন্ট

    0 উত্তর

    0 প্রশ্ন

শীর্ষ বিশেষ সদস্য

...