আস্ক প্রশ্নে আপনাকে স্বাগতম ! এটি একটি প্রশ্নোত্তর ভিত্তিক কমিউনিটি। এই সাইট সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন ...
307 বার প্রদর্শিত
"পড়াশোনা" বিভাগে করেছেন (2,723 পয়েন্ট) 99 694 745

2 উত্তর

1 টি পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন (525 পয়েন্ট) 5 8 41

মহান রাব্বুল আলামিন মানবজাতিকে সৃষ্টি করেছেন শ্রেষ্ঠ জাতি হিসেবে। এ ব্যাপারে নিম্নের বিষয়টি প্রণিধানযোগ্য। এই শ্রেষ্ঠত্ব কি গুণাবলি ও কি কারণের ওপর নির্ভরশীল? উত্তরে এ কথাই বলা হবে, আল্লাহতায়ালা আদম-সন্তানকে বিভিন্ন দিক দিয়ে এমন সব বৈশিষ্ট্য দান করেছেন যা অন্য কোনো প্রাণীর মধ্যে নেই। যেমন সুশ্রী চেহারা, সুষম দেহ, সুষম প্রকৃতি এবং অঙ্গসৌষ্ঠব ইত্যাদি।


আর এ জাতিকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়ে তিনি সৃষ্টি করেছেন একমাত্র তার ইবাদত করার জন্য। সালাত ও সবরের মাধ্যমে মানুষ আল্লাহর কাছে নিজের কামনা বাসনা এবং নিজের মনের আবেগ পেশ করবে। অন্য কারও কাছে কোনো কিছু চাবে না এবং সেজদার উদ্দেশ্যে কারও কাছে নিজের মাথাও ঝুঁকাবে না। আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেন, 'আমি জিন এবং ইনসানকে একমাত্র আমার ইবাদত করার জন্যই সৃষ্টি করেছি। ' সুরা জারিয়াত আয়াত ৫৬। আল্লাহতায়ালা তার মাখলুকাতের মধ্য থেকে শুধু ইবাদত করার জন্য মানবজাতিকে কেন বেছে নিলেন? তার উত্তর পাওয়া যায় পবিত্র কোরআনের অপর আয়াতের মধ্যে। আল্লাহ বলেন, নিশ্চয় আমি আদম-সন্তানকে মর্যাদাদান করেছি। তাদের জলে ও স্থলে চলাচলের বাহন দান করেছি। তাদের উত্তম জীবনোপকরণ প্রদান করেছি এবং তাদের অনেক সৃষ্ট বস্তুর ওপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছি।

সুরা বনি ইসরাঈল আয়াত ৭০। সম্মানিত জাতি দ্বারাই মহান প্রভুর ইবাদত ও গুণকীর্তন হবে এটাই তো স্বাভাবিক। কারণ আল্লাহতায়ালা মানবজাতিকে একই সঙ্গে তিনটি জিনিস দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। ১. কুয়্যাতে শাহ্ওয়াত (যৌবনশক্তি) ২ কুয়্যাতে গজব (রাগান্বিত হওয়ার শক্তি) ৩. কুয়্যাতে আকল (বিচার বিশ্লেষণের শক্তি)। অপরদিকে মানবজাতিকে শিক্ষা দিয়েছেন তিনি উন্নত ও সুন্দর চরিত্র মাধুরী গঠনের পদ্ধতি, যা তিনি অন্য কোনো প্রাণীকে দেননি। মানবজাতি নিজের বিবেক বুদ্ধি খাটিয়ে, মহান রাব্বুল আলামিনের বিভিন্ন কুদরতকে দেখে নিজের পারিবারিক জীবন, সামাজিক জীবন পরিচালনা করবে। এমনকি আল্লাহর চাহিদা অনুযায়ী রাষ্ট্রীয় জীবন পরিচালনা করবে। তাহলেই এই মানবজাতি আল্লাহর পক্ষ থেকে পাবে রহমত আর পরকালে পাবে অনাবিল শান্তি, তথা জান্নাত। শুধু তাই নয়, আল্লাহতায়ালা এই বিশ্ব জাহানকে কেয়ামত পর্যন্ত ঠিক রাখবেন এই মানবজাতি দ্বারাই। এ ছাড়া অন্য যত সব মাখলুকাত আছে সব মাখলুকাত মানবজাতির সেবার জন্যই আল্লাহতায়ালা সৃষ্টি করেছেন। পৃথিবীর ইতিহাসের সূচনা থেকে আজ পর্যন্ত কোনো ইতিহাসে পাওয়া যায়নি কোনো রাষ্ট্রের রাষ্ট্রনায়ক হয়েছে, কোনো বিদ্যালয়ের প্রধান হয়েছে কিংবা মসজিদের ইমাম হয়েছে মানুষ ছাড়া অন্য কোনো প্রাণী। তাহলে বোঝা গেল যে সব মাধ্যমে বিশ্বজাহান পরিচালিত হয় তার সবই আল্লাহতায়ালা দিয়েছেন মানবজাতিকে, অন্য কোনো প্রাণীকে নয়। উলি্লখিত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে এই কথা সুস্পষ্ট করে বলা যায়, পৃথিবীর ভেতর যত প্রাণী আছে তার মধ্যে মানবজাতিই একমাত্র শ্রেষ্ঠ, অন্য কোনো প্রাণী নয়। কিন্তু এই মানবজাতি যদি নিজেদের আল্লাহ ও তার রসুলের প্রদর্শিত পথে সঠিকভাবে পরিচালিত না হয়ে অন্য কোনো পথে পরিচালিত হয়, তাহলে তাদের সম্পর্কে মহান রাব্বুল আলামিন বলেছেন, তারা (মানবজাতি) চতুষ্পদ জন্তুর মতো, বরং তার থেকে আরও নিকৃষ্টতর, বস্তুত তারাই গাফেল জাতি। সুরা আনআম আয়াত ১৭৯।

1 টি পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন (382 পয়েন্ট) 8 24 34

হজরত আদম [আ.]-কে সৃষ্টি করার পর যখন আল্লাহ তাআলা ফেরেশতাদের বললেন, وَعَلَّمَ آَدَمَ الْأَسْمَاءَ كُلَّهَا ثُمَّ عَرَضَهُمْ عَلَى الْمَلَائِكَةِ فَقَالَ أَنْبِئُونِي بِأَسْمَاءِ هَؤُلَاءِ إِنْ كُنْتُمْ صَادِقِينَ ‘আর তিনি আদমকে যাবতীয় নাম শিক্ষা দিলেন। তারপর তিনি ওই সমুদয় (পদার্থকে) ফেরেশতাদের সামনে প্রকাশ করলেন এবং বললেন, যদি তোমরা (তোমাদের সন্দেহের ক্ষেত্রে) সত্যবাদী হয়ে থাকো তাহলে এই সমুদয়ের নাম আমাকে বলে দাও।’ তখন ফেরেশতারা লাজওয়াব হয়ে গেলো। কেননা তাদের তো ‘ইলম’ অর্থাৎ জ্ঞান ছিলো না, তাঁরা কী জবাব দেবেন? কিন্তু তাঁরা যেহেতু আল্লাহপাকের নিকটবর্তী ছিলেন তাই বুঝতে পারলেন—এটা তাদের পরীক্ষা করার উদ্দেশ্যে নয়। কারণ ইতোপূর্বে এসব বিষয় সম্পর্কে তাদেরকে তো কোনো জ্ঞানই দেয়া হয়নি। তাদেরকে এ-বিষয়ে সতর্ক করা উদ্দেশ্য যে, মহান আল্লাহর প্রতিনিধিত্ব করা তাসবিহ ও তাহলিল এবং প্রশংসা ও গুণগান গাওয়া ইত্যাদির ওপর নির্ভরশীল নয়; বরং ইলম—জ্ঞান নামক গুণের ওপর নির্ভরশীল। কারণ, স্বাধীন ইচ্ছা, আধিপত্য বিস্তারের ক্ষমতা এবং স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি প্রয়োগের সক্ষমতা— অন্যকথায় বলা যায়, জমিনে শাসনকার্য পরিচালনা করা ‘ইলম’ নামক গুণ ব্যতীত সম্ভব নয়। আল্লাহ যেহেতু আদম আ.-কে নিজের ‘ইলম’ গুণ প্রকাশের পূর্ণাঙ্গ ক্ষেত্র হিসেবে সৃষ্টি করেছেন, সুতরাং তিনিই পৃথিবীতে আল্লাহর প্রতিনিধিত্ব করার অধিকারী; ফেরেশতারা তার অধিকারী নয়। এমনকি পূর্ববর্তী সৃষ্টি জিনদেরকেও সে জ্ঞান ও ক্ষমতা দেয়া হয়নি, যে জ্ঞানকে মানুষকে দেয়া হয়েছে। প্রকৃত সত্যও এটাই যে, আল্লাহ তাআলার ফেরেশতাগণ তাদের ওপর ন্যস্ত দায়িত্বপালন ব্যতীত অন্য কোনো কাজ বা চিন্তায় তারা সক্ষম নয়। তাই তাঁরা ওইসব বস্তুর জ্ঞান সম্পর্কে অনবহিত ছিলেন। অন্যদিকে, হজরত আদম আ.-এর এ-সমুদয় বস্তুর প্রয়োজন ছিলো। তাই এসব বস্তুর জ্ঞান তাঁর জন্য একটি স্বাভাবিক ও সৃষ্টিগত ব্যাপার ছিলো। এই জ্ঞান রাব্বুল আলামিনের পক্ষ থেকে তাঁকে দান করা হয়েছে এবং সে সবকিছুই শিখিয়ে দেয়া হয়েছে যা তাঁর জন্য প্রয়োজনীয় ছিলো। এই মুক্ত জ্ঞান এবং পৃথিবীতে তার ইচ্ছার স্বাধীনতাই তাকে সমগ্র সৃষ্টির ওপর প্রভুত্ব দান করেছে। এই জ্ঞানশক্তির কারণেই মানুষকে বলা হয়েছে আশরাফুল মাখলুকাত।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

1 উত্তর
24 সেপ্টেম্বর 2019 "পড়াশোনা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Sajjad Jayed (10,126 পয়েন্ট) 386 2775 3127
1 উত্তর
23 এপ্রিল 2018 "পড়াশোনা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন কামরুল হাসান ফরহাদ (5,894 পয়েন্ট) 390 2028 2190
1 উত্তর
02 জুলাই 2018 "সাধারণ জ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Sirazul islam (2,723 পয়েন্ট) 99 694 745

28,156 টি প্রশ্ন

29,682 টি উত্তর

3,147 টি মন্তব্য

3,937 জন সদস্য



আস্ক প্রশ্ন এমন একটি প্ল্যাটফর্ম, যেখানে কমিউনিটির এই প্ল্যাটফর্মের সদস্যের মাধ্যমে আপনার প্রশ্নের উত্তর বা সমস্যার সমাধান পেতে পারেন এবং আপনি অন্য জনের প্রশ্নের উত্তর বা সমস্যার সমাধান দিতে পারবেন। মূলত এটি বাংলা ভাষাভাষীদের জন্য একটি প্রশ্নোত্তর ভিত্তিক কমিউনিটি। বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার পাশাপাশি অনলাইনে উন্মুক্ত তথ্যভান্ডার গড়ে তোলা আমাদের লক্ষ্য।

  1. Saddam007

    50 পয়েন্ট

    0 উত্তর

    0 প্রশ্ন

  2. Provas

    50 পয়েন্ট

    0 উত্তর

    0 প্রশ্ন

  3. Website

    50 পয়েন্ট

    0 উত্তর

    0 প্রশ্ন

  4. শারমিন

    50 পয়েন্ট

    0 উত্তর

    0 প্রশ্ন

  5. MD Rashed Ahmed

    50 পয়েন্ট

    0 উত্তর

    0 প্রশ্ন

শীর্ষ বিশেষ সদস্য

...