আস্ক প্রশ্নে আপনাকে স্বাগতম ! এটি একটি প্রশ্নোত্তর ভিত্তিক কমিউনিটি। এই সাইট সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন ...
262 বার প্রদর্শিত
"ফুটবল" বিভাগে করেছেন (187 পয়েন্ট) 13 78 80

1 উত্তর

0 পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন (1,496 পয়েন্ট) 14 32 43


 ১৯৭০ সালের মেক্সিকো বিশ্বকাপে প্রথম লাল কার্ড-হলুদ কার্ড চালু হয়। মাঠে লাল কার্ড-হলুদ কার্ড চালুর আগে ফুটবল ম্যাচ নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছিল না। ট্রাফিক লাইটের লালবাতি দেখে লাল কার্ড-হলুদ কার্ড চালুর ধারণাটা পান কেনেথ অ্যাস্টন"আমি যখন কেনসিংটন হাই স্ট্রীট দিয়ে গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছি, তখন লাল ট্রাফিক লাইট জ্বলে উঠলো। তখন আমি ভাবলাম, হলুদ মানে হচ্ছে, 'সাবধান'। আর লাল মানে, 'থামো', তোমাকে মাঠ ছাড়তে হবে। ইংলিশ রেফারি কেনেথ জর্জ অ্যাস্টন প্রথম কিভাবে ফুটবল খেলায় লাল কার্ড, হলুদ কার্ডের ব্যবহারের আইডিয়া পেয়েছিলেন, তা বর্ণনা করেছেন এভাবেই। ১৯৬০ এর দশকের শুরুতে ফুটবল মাঠে খেলোয়াড়রা এতটাই আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছিল যে, ম্যাচ নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছিল না। মাঠের খেলা অনেক সময়েই দু্ই পক্ষের হাতাহাতি-মারামারিতে গড়াচ্ছিল। আহত খেলোয়াড়দের হাসপাতালে পর্যন্ত নিতে হচ্ছিল। ফুটবল মাঠের এই সহিংসতার একটা চরম দৃশ্য দেখা গেল ১৯৬২ সালের চিলি বিশ্বকাপে। 'দ্য ব্যাটল অব সান্টিয়াগো' সেবার চিলির সান্টিয়াগোতে উদ্বোধনী ম্যাচ ছিল তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং ইয়োগোশ্লাভিয়ার মধ্যে। মাঠে দুই দলের খেলোয়াড়দের মারামারি, ঘুষোঘুষিতে কয়েকজনের হাড় ভাঙ্গলো। একই ধরণের ঘটনা ঘটলো জার্মানি বনাম ইটালির খেলায়। ১৯৬৬ সালে আর্জেন্টিনা-ইংল্যান্ড ম্যাচের রেফারি রুডলফ ক্রেইটলেইনকে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল পুলিশ পাহারায়চেকোশ্লোভাকিয়া বনাম স্পেনের খেলায় গোলরক্ষক তো কয়েক মিনিটের জন্য অজ্ঞান হয়ে গেল। তার মাথায় বুট দিয়ে লাথি মারা হয়েছিল। আর্জেন্টিনা বনাম বুলগেরিয়ার খেলাতেও কয়েকজন গুরুতর আহত হলো। ঘটনার এখানেই শেষ নয়। আরও মারাত্মক ঘটনা ঘটলো এরপর চিলি আর ইটালির খেলায়। ইতিহাসে এই ম্যাচটি 'দ্য ব্যাটল অব সান্টিয়াগো' নামে পরিচিত। এটি ছিল খেলার মাঠে অসংযত মারামারির একটা চুড়ান্ত উদাহারণ। লাথি, ঘুষি তো বটেই, কি ছিল না সেই মারামারিতে। শেষ পর্যন্ত মাঠে পুলিশ ডাকতে হয়। খেলায় চিলি জিতেছিল ২-০ গোলে। কিন্তু ঐ ম্যাচে রেফারির ভূমিকার ব্যাপক সমালোচনা হয়। কে ছিলেন সেই ম্যাচের রেফারি? সেই একই কেনেথ অ্যাস্টন। ঐ ম্যাচের বর্বরতা, সহিংসতা তাকে ভাবিয়ে তুলেছিল কি করা যায়। সেই ভাবনা থেকেই তিনি ১৯৭০ সালে মেক্সিকো বিশ্বকাপের আগে এই সমস্যার সমাধান হাজির করলেন। আমি কোন ফুটবল ম্যাচের রেফারিগিরি করছিলাম না, আমি যেন একটি সামরিক অভিযানে আম্পায়ার হিসেবে কাজ করছিলাম, তিনি পরে ঐ ম্যাচ সম্পর্কে বলেছিলেন। কেনেথ অ্যাস্টন ১৯৬৩ সালে রেফারির কাজ থেকে অবসর নেন। এরপর তিনি ফিফার রেফারিদের কমিটির সদস্য হন। ১৯৭০ হতে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত তিনি এই কমিটির সভাপতি ছিলেন। ১৯৬৬ সালের বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনা এবং ইংল্যান্ডের খেলায় এক নতুন কেলেংকারি ঘটলো। সেটা মোকাবেলার দায়িত্ব পড়েছিল কেনেথ অ্যাস্টনের ওপর। ১৯৭০ সালের মেক্সিকো বিশ্বকাপে প্রথম লাল কার্ড-হলুদ কার্ড চালু হয়।ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ঐ ম্যাচে রেফারি ছিলেন জার্মান রুডলফ ক্রেইটলেইন। খেলার ৩৬ মিনিটের মাথায় তিনি আর্জেন্টিনার অধিনায়ক আন্তনিও রাত্তিনকে মাঠ থেকে বের করে দেন। রেফারি ইংল্যান্ডের পক্ষে একটি ফাউল দিয়েছিলেন, কিন্তু রাত্তিন তার প্রতিবাদ জানান। তখন তাকে মাঠ থেকে বের করে দেয়া হয়।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

1 উত্তর
18 জুন 2018 "ফুটবল" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Sajjad Jayed (10,126 পয়েন্ট) 388 2800 3127
2 টি উত্তর
24 অক্টোবর 2019 "ফুটবল" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Siddique (4,388 পয়েন্ট) 275 1559 1592
0 টি উত্তর
18 জুন 2018 "ফুটবল" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন শামীম মাহমুদ (7,799 পয়েন্ট) 1024 2988 3067
1 উত্তর

28,156 টি প্রশ্ন

29,682 টি উত্তর

3,147 টি মন্তব্য

3,939 জন সদস্য



আস্ক প্রশ্ন এমন একটি প্ল্যাটফর্ম, যেখানে কমিউনিটির এই প্ল্যাটফর্মের সদস্যের মাধ্যমে আপনার প্রশ্নের উত্তর বা সমস্যার সমাধান পেতে পারেন এবং আপনি অন্য জনের প্রশ্নের উত্তর বা সমস্যার সমাধান দিতে পারবেন। মূলত এটি বাংলা ভাষাভাষীদের জন্য একটি প্রশ্নোত্তর ভিত্তিক কমিউনিটি। বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার পাশাপাশি অনলাইনে উন্মুক্ত তথ্যভান্ডার গড়ে তোলা আমাদের লক্ষ্য।

  1. SA Sujon

    50 পয়েন্ট

    0 উত্তর

    0 প্রশ্ন

শীর্ষ বিশেষ সদস্য

...