একবার কৃমির সমস্যায় পড়লে কয়েক মাস পরপরই এটি আক্রমণ করে। নিয়মিত ঔষধ সেবন করে এর চিকিৎসা করা যায়। তবে এই সমস্যা থেকে চিরতরে রক্ষা পেতে নিচের খাবারগুলো গ্রহণ করতে পারেন।
কৃমির যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়ার ৫টি খাবারঃ
নারকেল
নারকেল বা নারকেলের দুধ কৃমির একটি জনপ্রিয় ঘরোয়া চিকিৎসা। প্রতিদিন সকালে খুব অল্প পরিমাণে ঘন নারকেলের দুধ খান। এতে করে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে; কৃমির ডিম ধ্বংস হয়ে কৃমির যন্ত্রণা থেকে রেহাই পাবেন।
গাজর
কৃমির যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে গাজর? অবাক হবার-ই কথা। গাজরে বিশেষ কয়েক ধরনের ভিটামিন, মিনারেল এবং জৈব উপাদান থাকে যা কৃমির ডিম ধ্বংস করতে সক্রিয়ভাবে সহযোগিতা করে। গাজরে উপস্থিত ভিটামিন এ কৃমির ডিম ধ্বংস করে এবং ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে যা কৃমির বার বার ফিরে আসাকে প্রতিহত করে।
রসুন
রসুনে কিছু সালফার উপাদান থাকে যেগুলো কৃমি হজম করতে পারে না। প্রতি বেলার খাবারে কয়েক কোয়া রসুন খান। এভাবে দুই সপ্তাহ চালান। প্রথম দিকে নিশ্বাসে একটু খারাপ গন্ধ আসতে পারে; তবে কৃমির যন্ত্রণা থেকে রেহাই পেতে রসুনের জুড়ি নেই।
কাঁচা হলুদ
কৃমির যন্ত্রণা থেকে রেহাই পাওয়ার আরও একটি পন্থা হচ্ছে কাঁচা হলুদ। হলুদে উপস্থিত কৃমিনাশক উপাদান কৃমিগুলোকে অকেজো করে ফেলে এবং ডিমগুলো নষ্ট করে ফেলে। রোজ সকালে অল্প কাঁচা হলুদ পানি দিয়ে গিলে খাবেন। এছাড়া প্রতিদিনের রান্নায় হলুদের ব্যবহার করেও উপকার পেতে পারেন।
কাঁচা পেঁপে
কাঁচা পেঁপে প্যাপেইন নামক এক ধরনের উচ্চ মাত্রার এনজাইমে সমৃদ্ধ যা একটি উৎকৃষ্ট কৃমিনাশক উপাদান হিসেবে পরিচিত। এই উপাদান প্রাকৃতিক উপায়ে কৃমি ধ্বংস করে থাকে।
সতর্কতাঃ কৃমির যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবার একাধিক ঘরোয়া চিকিৎসা রয়েছে। এগুলো এক দিকে যেমন সহজলভ্য, অন্য দিকে ঝামেলামুক্ত। তবে, আপনার কৃমির সমস্যা কতটা মারাত্মক তার উপর নির্ভর করবে আপনি ঘরোয়া চিকিৎসা চালিয়ে যাবেন নাকি চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন। কৃমির আক্রমণে যদি অতিরিক্ত ওজন হ্রাস পায়, মাত্রাতিরিক্ত ক্ষুধা পায়, ক্লান্তি লাগে, অ্যানেমিয়া বা অন্যান্য মারাত্মক লক্ষণ দেখা দেয় সেক্ষেত্রে আর ঘরোয়া চিকিৎসা চালিয়ে না গিয়ে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।