আস্ক প্রশ্নে আপনাকে স্বাগতম ! এটি একটি প্রশ্নোত্তর ভিত্তিক কমিউনিটি। এই সাইট সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন ...
396 বার প্রদর্শিত
"স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে করেছেন (37 পয়েন্ট) 4 16 19

1 উত্তর

0 পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন (2,796 পয়েন্ট) 159 422 438



সচরাচর নির্দোষ বলে গণ্য কোনো জিনিস যদি শরীরে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে তবে তাকে এলার্জি বলা হয়। যে সব দ্রব্য এলার্জি সৃষ্টি করে তাকে বলা হয় এলারজেন বা এন্টিজেন এবং এসব দ্রব্য দেহে প্রবেশের ফলে দেহের অভ্যন্তরে যে দ্রব্য সৃষ্টি হয় তাকে বলা হয় এন্টিবডি। এন্টিজেন ও এন্টিবডি পরস্পর মিলিত হলে যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় তাকে বলা হয় এন্টিজেন-এন্টিবডি বিক্রিয়া।

হাঁপানির সঙ্গেও এলার্জির গভীর সংযোগ আছে। ফুলের পরাগ, দূষিত বাতাস, ধোঁয়া, কাঁচা রংয়ের গন্ধ, চুনকাম, ঘরের ধূলো, পুরানো ফাইলের ধূলো দেহে এলার্জিক বিক্রিয়া করে হাঁপানি রোগের সৃষ্টি করে। কাজেই যারা হাপানিতে ভুগছেন তাদেরকে এগুলি পরিত্যাগ করে চলতে হবে। ছত্রাক দেহে এলার্জি তথা হাঁপানি সৃষ্টি করে। ছত্রাক হচ্ছে অতি ক্ষুদ্র সরল উদ্ভিদ। ছত্রাক ২০ ডিগ্রী সেঃ গ্রেঃ থেকে ৩২ ডিগ্রী সেঃ গ্রেঃ উত্তাপে জন্মে, ভেজা পদার্থে এই ছত্রাক জন্মাতে দেখা যায়।

আবার কোনো কোনো খাদ্য ছত্রাকদ্বারা দূষিত হয়ে থাকে। পনিরে ছত্রাক মিশিয়ে তৈরী করা হয়। কোনো কোনো পাউরুটি এবং কেক তৈরী করতেও ইয়েস্ট জাতীয় ছত্রাক ব্যবহার করা হয়। আলু, পেঁয়াজও ছত্রাকদ্বারা দূষিত হয়। এই ছত্রাক ও এলর্জি তথা হাঁপানি সৃষ্টির একটি অন্যতম কারণ। ঘরের ধূলোতে একটি সচরাচর পরিচিত। এক অনুসন্ধানে দেখা যেছে যে শতকরা প্রায় ষাট শতাংশ ক্ষেত্রে এলার্জি সৃষ্টির জন্য এই ‘মাইট’ দায়ী। সে জন্যে যারা হাঁপানিজনিত এলার্জিক সমস্যায় ভোগেন তারা ঘরের ধূলো সবসময় এড়িয়ে চলবেন। ঘরের আসবাবপত্র, কম্বল, পর্দা, তোষক, বালিশ, প্রভৃতিতে যে ধূলো জমে থাকে তা পরিষ্কার করার সময় দূরে সরে থাকতে হবে। খাদ্যে প্রচুর এলার্জির সম্ভাবনা থাকে যেমন, দুধে এলার্জি, বিশেষ করে শিশুদের থেকে গরুর দুধে খুবই বেশী এলার্জি হতে দেখা যায়।

গরুর দুধে বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে গায়ে চুলকানি, হাঁপানি ইত্যাদি হতে দেখা যায়। এছাড়া গমে ডিমে, মাছে এলার্জি হতে দেখা যায়। বাদাম, কলা, আপেল, আঙ্গুর, ব্যাঙের ছাতা, তরমুজ, পেঁয়াজ, বসুন, চকোলেট, এমনকি ঠান্ডা পানীয় কোনো কোনো ব্যক্তির ক্ষেত্রে এলার্জি সৃষ্টি করে। এছাড়া ঔষধ এলার্জি হতে পারে। এর মধ্যে পেনিসিলিন আর অ্যাসপিরিন অন্যতম।

মোট কথা এলার্জিতে ভুগলে লক্ষ্য করবেন কোনো খাবারে আপনার এলার্জি হয় কিনা ?

যদি এলার্জির সুনির্দিষ্ট কারণ খুঁজে পাওয়া যায়, তখন তা পরিহার করার মাধ্যমে সহজেই এলার্জি নিয়ন্ত্রণ করা যায়। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এলার্জি ভেদে ওষুধ প্রয়োগের মাধ্যমে অনেক ক্ষেত্রে এলার্জি উপশম করা যায়। এলার্জি দ্রব্য থেকে এড়িয়ে চলা ও ওষুধের পাশাপাশি ভ্যাকসিন নেয়ার মাধ্যমে সহজেই এ সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা যায়। এ পদ্ধতির ব্যবহারে কর্টিকোস্টেরয়েডের ব্যবহার কমে যায় এবং কর্টিকোস্টেরয়েডের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকে রেহাই পাওয়া যায়। বিশ্বের অধিকাংশ দেশে বিশেষ করে উন্নত দেশগুলোতে এ পদ্ধতিতে চিকিৎসা দেয়া হয়। এটাই এলার্জি রোগীদের দীর্ঘমেয়াদে সুস্থ থাকার একমাত্র চিকিৎসা পদ্ধতি। অনেকের ধারণা এলার্জি একবার হলে আর সারবে না কিন্তু প্রথমদিকে ধরা পড়লে এলার্জিজনিত রোগ একেবারেই সারিয়ে ফেলা সম্ভব। অপরদিকে অবহেলা করলে এবং রোগ দীর্ঘসময় ধরে থাকলে চিকিৎসা একটু কঠিন হতে পারে।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

1 উত্তর
14 মে 2018 "লাইফ স্টাইল" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন rahat jr. (44 পয়েন্ট) 159 588 602

28,156 টি প্রশ্ন

29,682 টি উত্তর

3,147 টি মন্তব্য

3,938 জন সদস্য



আস্ক প্রশ্ন এমন একটি প্ল্যাটফর্ম, যেখানে কমিউনিটির এই প্ল্যাটফর্মের সদস্যের মাধ্যমে আপনার প্রশ্নের উত্তর বা সমস্যার সমাধান পেতে পারেন এবং আপনি অন্য জনের প্রশ্নের উত্তর বা সমস্যার সমাধান দিতে পারবেন। মূলত এটি বাংলা ভাষাভাষীদের জন্য একটি প্রশ্নোত্তর ভিত্তিক কমিউনিটি। বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার পাশাপাশি অনলাইনে উন্মুক্ত তথ্যভান্ডার গড়ে তোলা আমাদের লক্ষ্য।

  1. Lovely Yeasmin

    50 পয়েন্ট

    0 উত্তর

    0 প্রশ্ন

  2. Saddam007

    50 পয়েন্ট

    0 উত্তর

    0 প্রশ্ন

  3. Provas

    50 পয়েন্ট

    0 উত্তর

    0 প্রশ্ন

  4. Website

    50 পয়েন্ট

    0 উত্তর

    0 প্রশ্ন

  5. শারমিন

    50 পয়েন্ট

    0 উত্তর

    0 প্রশ্ন

শীর্ষ বিশেষ সদস্য

...