আমাদের দেহের সুস্থতা বজায় রাখার জন্য লাল শাকের গুরুত্ব অনেক বেশি। লাল শাক রূপে যেমন মনোহারী গুণেও তেমন কার্যকরী। গবেষণায় দেখা গেছে লাল শাকের শরীরে এমন কিছু উপকারি উপাদান রয়েছে, যা ৩০ বছর বয়স এর পর থেকে শরীরের ভাঙন আটকানোর পাশাপাশি একাধিক রোগকে দূরে রাখতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। পাতের ভাতকে নতুন রূপ দিতেও সেরা। ছোট বড় সবাই এর স্বাদের ভক্ত। প্রতিদিন যদি এই শাকটি খাওয়া যায়, তাহলে আয়ু তো বাড়েই, সেই সঙ্গে সুস্থ জীবনের পথ অনেকাংশেই প্রশস্ত হয়।
তাই আজ জেনে নেয়া যাক লাল শাকের পুষ্টিগুণঃ
প্রতি ১০০ গ্রাম লাল শাকে আছে ক্যালসিয়াম ৩৭৪ মি. গ্রা., শর্করা ৪.৯৬ মি. গ্রা., প্রোটিন ৫.৩৪ মি. গ্রা., স্নেহ ০.১৪ মি. গ্রা., ভিটামিন বি১ ০.১০ মি. গ্রা., ভিটামিন বি২ ০.১৩ মি. গ্রা., ভিটামিন সি ৪২.৯০ মি. গ্রা., ক্যারোটিন ১১.৯৪ মি. গ্রা., অন্যান্য খনিজ ১.০৬ মি. গ্রা., খাদ্য শক্তি ৪৩ কিলোক্যালরি।
কোলেস্টরল স্বাভাবিক রাখতে:
১. লাল শাক রক্তে কোলেস্টরলের মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।
ক্যান্সার প্রতিরোধে:
২. লাল শাকের এন্টি অক্সিডেন্ট ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
মস্তিষ্ক ভাল রাখে:
৩. মস্তিষ্ক ও হৃদপিণ্ডকে শক্তিশালী করতে লাল শাকের ভূমিকা অনেক।
৪. কিডনি সমস্যা দূর করতে:
কিডনি ফাংশনগুলো ভালো রাখতে ও কিডনি পরিষ্কার রাখতে লাল শাক খুব ভালো।
৫. ভালো দৃষ্টি শক্তি:
লাল শাকে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যা চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধির জন্য খুব উপকারী।
৬. রক্তশূন্যতা রোধ করে:
দেহের রক্তশূন্যতা রোধ করতে লাল শাক খুব উপকারী কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে।
৭. ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণে:
বিশেষ করে দাঁতের সুস্থতা, হাঁড় গঠন, গর্ভবতী এবং প্রসূতি মায়েদের দৈনিক ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণে এই শাক উপকারী।