সঙ্গমের পর পুরুষের বীর্য যোনি পথ ধরে জরায়ুতে প্রবেশ করে, এরপর ডিম্বনালীতে অবস্থিত ডিম্বাণুর সাথে মিলিত হয়। শুক্রাণু দ্বারা ডিম্বাণু নিষিক্ত হয়ে ভ্রুণের আদি দশায় পৌঁছে। এরপর নিষিক্ত ডিম্বাণু জরায়ুতে প্রবেশ করে। এই অবস্থাকে নারীর গর্ভ-সঞ্চার কাল ধরা হয়। জরায়ুতে ভ্রূণটি পৌঁছার ৪/৫ দিনের মধ্যে, জরায়ুর অন্তঃপ্রাচীরের গায়ে যুক্ত হয়ে যায়। এক্ষেত্রে ভ্রূণ ও জরায়ুগাত্রের মধ্যে কিছু কোষ যুক্ত হয়ে ভ্রূণকে স্থিতি অবস্থায় রাখে। এই সংযুক্ত কোষরাশিকে অমরা বা গর্ভফুল বলা হয়। এই গর্ভফূলের দ্বারা ভ্রূণ মাতৃদেহ থেকে খাদ্য পায় এবং ভ্রূণের দেহ থেকে অপ্রয়োজনীয় দ্রব্য বেরিয়ে যায়। জরায়ুতে ভ্রূণটি বড় হতে থাকে। ভ্রূণের ক্রমাগত বৃদ্ধির সাথে সামঞ্জস্য রেখে জরায়ু বৃদ্ধি পায়। ভ্রূণ থেকে মানব শিশুতে পরিণত হতে প্রায় ২৮০ দিন সময় লাগে। এরপর নারী যোনি পথ দিয়ে সন্তান প্রসব করে।