বেশী মোটা কিংবা শুকনা কোনোটাই ভাল নয়;
মাঝামাঝি থাকাটাই মঙ্গলময়। স্বাস্থ্য প্রকৃতিগত
ভাবে পাওয়া। চাইলেই যদি সব পাওয়া যেত তাহলে
ইচ্ছেমত সবাই শরীরটাকে বদলে দিত, তবে হ্যা
চর্চার মাধ্যমে সব অসম্ভবকে সম্ভব করা যায়।
নিয়মিত অনুশীলন, চেষ্টা ধৈর্য আপনার চাওয়াকে
পাওয়াতে পরিণত করবে। যারা খুব শুকনা তারা
মোটা হওয়ার উপায়গুলো জেনে নিন। ০যদি নিয়মিত
পুষ্টিকর খাবার খান এবং রাতের ঘুম ঠিক রাখেন
তাহলে আপনি তাড়াতাড়ি আপনার স্বাস্থ্য মোটা
করতে পারবেন। না ঘুমাতে পারলে আপনার শরীর
ক্যালরী ধরে রাখতে পারে না। রাতে তাড়াতাড়ি
খাওয়া শেষ করুন এবং তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ুন।
০একটা নিদিষ্ট সময় ধরে খাবেন। সকালে ঘুম থেকে
উঠে এক ঘন্টার মধ্যে সকালের নাস্তা শেষ করুন।
সকালে প্রচুর পরিমাণে খেয়ে নিতে পারেন। হ্যাম
বার্গার, ভাজা খাবার, চিকেন ব্রেস্ট খেলেও ক্ষতি
নেই। ০সফ্ট ড্রিংকস্ এবং ফ্যাটি খাবার খেলে
স্বাস্থ্য মোটা হয়। এতে হাই-ইন্সুলিন থাকে।
ইন্সুলিন হরমোন তৈরি করে। যার সাহায্যে শরীরে
কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন এবং ফ্যাট জমে। যখন
ফ্যাটি ফুডস্ খাবেন তখন পানি পান করুন; সফ্ট
ড্রিংকস্ নয়। এমনকি ডায়েট সফ্ট ড্রিংকস্ও নয়।
এটা খেলে আপনি ফ্যাটি ফুড খেতে পারবেন না।
০এনার্জি ফুড খেলেও আপনি মোটা হবেন। শরীরে
যদি এনার্জি ফুড না থাকে তাহলে শরীরে শক্তিই
থাকে না মোটা হওয়া তো দূরের কথা। আপনি
কখনো ব্যাটারিতে ল্যাপটপ কম্পিউটার চালাতে
পারবেন না যদি প্লাগ না দেন। শরীরও তার
ব্যতিক্রম নয়। ০টেনশনমুক্ত থাকুন। নিয়মিত
ব্যায়াম করুন। ব্যায়াম করলে ক্ষুধা বেড়ে যায়
টেনশন দূরে করে। ০প্রচুর ফল খান। ফল পুষ্টিকর
খাবার এতে প্রচুর ক্যালরি পাওয়া যায়। প্রতিদিন
ফল এবং ফলের রস খান। ফলের তৈরি বিভিন্ন
সিরাপ, কুবিথ, গাম, জ্যাম, জ্যালি খান এতে ফ্যাট
আছে যা আপনার স্বাস্থ্য মোটা করবে।
০এ্যালকোহল পান করলে শরীর মোটা হয়। এটা
আপনার মাংশপেশীতে হরমোন তৈরি করে। আপনার
শরীরে যখন অতিরিক্ত ক্যালরির প্রয়োজন হয়
দিনের শেষে সন্ধ্যার দিকে তখন এ্যালকোহল পান
করুন। এ্যালকোহলে প্রচুর ক্যালরি পাওয়া যায়।
রাতে এ্যালকোহল পান করে তাড়াতাড়ি রাতের
খাবার সেরে ঘুমিয়ে পড়ুন। এরপর দেখুন কোন
পরিবর্তন আসে কিনা :)