হাদীস সংরক্ষণের ব্যাপারে মুসলমানদের ভিতরে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করা হয়েছে।কতিপয় প্রাচ্য পন্ডিত ও শিক্ষিত মিশনারী যাদের মধ্যে স্যার উইলিয়াম মুর ও গোলডজার সবচাইতে অগ্রণী,তারা রাসূলুল্লাহ(সাঃ) এর হাদীস গুলোর সংগ্রহ ও লিপিবদ্ধ করার কাজ তার ইন্তেকালের ৯০ বছর পর শুরু হয়েছে বলে এগুলির ত্রুটিহীনতা ও প্রামাণ্যতার ব্যাপারে সন্দেহ সৃষ্টি করতে চেয়েছেন।
এমনকি মুসলমানদের ভেতর এ ধারণা সৃষ্টি করতেও সক্ষম হয়েছেন যে,হাদীসও নবী চরিত সংকলন ও রচনার কাজ শুধু তাবেঈগণ শুরু করেন।
তাই অনেকে স্বাভাবিকভাবেই মনে করে থাকেন নবী চরিত সংগ্রহ ও সংকলনের কাজ তার ওফাতের একশো বছর পর শুরু হয়েছে। কিন্তু আমরা বলতে চাই- একথাগুলো ভাওতা ছাড়া আর কিছুই নয় অথবা অজ্ঞতার বশবর্তী হয়েই এ কথা প্রচার করা হয়েছে।আসলে এ কাজ নবী (সাঃ) এর জীবিত অবস্থা থেকেই শুরু হয়েছে।তার প্রমাণ-
হযরত আবু হুরায়রা(রাঃ) বলেন আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আ’স(রাঃ) ব্যতীত কারো আমার চাইতে অধিক সংখ্যক হাদীস স্মরণ নেই। আমার চাইতে তার নিকট অধিক সংখ্যক সংরক্ষিত থাকার কারণ হচ্ছে এই যে,তিনি রাসুলুল্লাহ(সাঃ) এর নিকট যা কিছু শুনতেন সব লিখে রাখতেন।কিন্তু আমি লিখে রাখতাম না।(বোখারী শরীফ)
আবু দাউদ ও মুসনাদে আহমদ ইবনে হাম্বলে উল্লেখিত হয়েছে যে, কতিপয় সাহাবা হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমরকে বললেন- রাসুলুল্লাহ(সাঃ) কখনো ক্রুদ্ধ অবস্থায় আনার কখনো প্রফুল্ল অবস্থায় থাকেন অথচ তুমি সকল অবস্থায়ই সব কিছু লিখে রাখো। একথার পর আবদুল্লাহ ইবনে আম(রাঃ) লেখা বন্ধ করলেন এবং রাসুলুল্লাহর(সাঃ) নিকট বিষয়টি বললেন। রাসুলুল্লাহ(সাঃ) নিজের মুখের দিকে ইশারা করে বললেন- তুমি লিখতে থাকো এ স্থান থেকে যা বের হয় সত্যই হয়ে থাকে। (আবু দাউদ-দ্বিতীয় খন্ড ৭৭ পৃষ্ঠা
আ ক ম আজাদ আস্ক প্রশ্ন ডটকমের সাথে আছেন সমন্বয়ক হিসাবে। বর্তমানে তিনি একজন শিক্ষক। আস্ক প্রশ্ন ডটকমকে বাছাই করে নিয়েছেন জ্ঞান আহরণ ও জ্ঞান বিতরণের মাধ্যম হিসাবে। ভবিষ্যতে একজন বক্তা ও লেখক হওয়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছেন। এই আশা পূর্ণতা পেতে সকলের নিকট দু'আপার্থী।