আমাদের অনেকেই হয়তো জানি না ঠাণ্ডা পানি পান
করার চাইতে গরম পানি পান করে কিছু অসাধারণ
উপকার পেতে পারি আমরা। ১। ওজন কমায়: যারা
ওজন কমাতে চাচ্ছেন তাদের অবশ্যই প্রতিদিন
সকালে এক গ্লাস গরম পানিতে এক চিলতে লেবুর
রস মিশিয়ে পান করা উচিত। কারণ, উষ্ণপানি
আপনার শরীরের মেদ কলায় আঘাত হেনে তার ক্ষয়
নিশ্চিত করে। ২। শ্বাসযন্ত্র পরিষ্কার রাখে:
গরম পানি সর্দি, কাশি ও গলদাহের চিকিৎসার
জন্য চমৎকার একটি উপায় ।এটি পানি পানে
শ্বাসযন্ত্রের নালীতে জমে থাকা কঠিন কফও
পরিষ্কার হয়ে যায়। ৩। অকাল বার্ধক্য
প্রতিরোধ করে: অকালে বুড়িয়ে দেয়ার জন্য দায়ী
এমন কিছু দূষিত পদার্থ গরম পানি আপনার শরীর
থেকে দূর করতে সহায়তা করে। যা আপনার শরীরের
তারুণ্যকে ধরে রাখার জন্য আবশ্যক। ৪। ব্রণ ও
ত্বকের ফুসকুড়ি প্রতিরোধে: গরম পানি ত্বকের
গভীর থেকে পরিষ্কার করে দেয় দূষিত
পদার্থগুলোকে, ফলে ব্রণ ও ত্বকের ফুসকুড়ি
জাতীয় নানা সংক্রমণের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়। ৫।
স্বাস্থ্যকর চুলের জীবনীশক্তি: গরম পানি পান
নরম চকচকে স্বাস্থ্যকর চুল পেতে অসামান্য
উপকারি। এটি চুলের গোড়ায় স্নায়ুর শক্তি ও
কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে। সেই সাথে এটি চুল পড়া
কমিয়ে দেয় ও নতুন চুল গজানোর সম্ভাবনা বাড়িয়ে
দেয়। ৬। খুশকি প্রতিরোধ করে: গরম পানি মাথার
ত্বককে রুক্ষ হতে দেয় না এবং এটি শুষ্ক মাথার
ত্বক ও খুশকির বিরুদ্ধে কাজ করতে সাহায্য করে।
৭। রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে স্নায়ুতন্ত্রকে সুস্থ
রাখে: পেশির সঞ্চালন ও স্নায়ুর সঠিক
কর্মকাণ্ডের জন্য গরম পানি পান করা অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এটি শরীরের রক্ত সঞ্চালন
বাড়িয়ে দিয়ে নালিতে জমে থাকা চর্বি ভেঙ্গে দেয়
যা স্নায়ুতন্ত্রকে সুস্থ রাখে। ৮। খাদ্য হজমে
সহায়তা করে: খাদ্য হজমে গরম পানি খুবই
উপকারি। এছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে অন্ত্রের
সুরক্ষায় গরম পানি অনেক কার্যকর ভূমিকা রাখে।
৯। শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদানসমূহ অপসারণ
করে: গরম পানি পান করলে শরীরের তাপমাত্রা
বাড়ে ফলে ঘাম হয়। ফলে শরীর থেকে বিষাক্ত
উপাদানগুলো অপসারণ করে সুস্থ থাকতে আমাদের
সহায়তা করে। ১০। মাসিক নিয়মিত করণে: গরম
পানি মেয়েদের মাসিক সংক্রান্ত সমস্যা দূর করতে
উপকারি। পানির উষ্ণতা পেটের পেশির উপর
প্রভাব ফেলে যা মাসিক সংক্রান্ত সমস্যা দূর
করতে সহায়তা করে।