নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খেলে, রুটিনমাফিক জীবন যাপন করলে ও রাতের ঘুম ঠিক রাখলে আশা করা যায় আপনি দ্রুত স্বাস্থ্য মোটা করতে বা ওজন বাড়াতে পারবেন। তবে শুধু খেলেই চলবে না। খাওয়ার সময় আরো একটা বিষয় খেয়াল রাখতে হবে যে যা খাওয়া হচ্ছে, সেই খাদ্যে যেন রুচি থাকে। অরুচি নিয়ে আপনি যত খাবারই খান না কেন, তার পুষ্টিগুণ আপনার শরীরে সেভাবে কাজ নাও করতে পারে। খাবারে মজা পেতে হবে। খাবারকে মন দিয়ে উপভোগ করতে হবে। অন্য কোন কাজের ফাঁকে খাওয়া-দাওয়া করা যাবে না। বরং আলাদা সময় নিয়ে মন ভরে, পেট ভরে খেতে হবে।
অনেককেই দেখবেন, প্রচুর খাওয়া-দাওয়া করে। কিন্তু কোন স্বাস্থ্য বাড়ে না। এতোসব খাবার যে কোথায় যায়? এর কারণ হতে পারে যে তারা বেশি খেলেও খাওয়ার সময় খাবারের প্রতি মনোযোগ থাকে না। অথবা সেই খাবারে তার অরুচি রয়েছে, শুধু ক্ষুধা মেটানোর জন্যই খায়। অথবা শুধু খাবারই বেশী খায়, কিন্তু অন্যান্য নিয়ম-শৃংখলা মেনে চলে না। রাতে ঠিক সময়ে ঘুমায় না। রাতে ঘুম ঠিক না হলে আপনার শরীর ক্যালরি ধরে রাখতে পারবে না। সেক্ষেত্রে আপনার মোটা হবার সম্ভাবনা কমে যাবে।
তাই যারা স্বাস্থ্য বাড়াতে চায়, আপনাকে রাত জাগা যাবে না। তাড়াতাড়ি খাওয়া-দাওয়া শেষ করে সময়মত ঘুমাতে হবে। নির্দিষ্ট রুটিন মেনে খেতে হবে। একদিন সকালের খাবার ৮ টায়, আরেকদিন ১১ টায়- এভাবে খেলে চলবে না। প্রতিদিনের খাবারের সময় যেন মোটামুটি একই থাকে। সকালের খাবারটা একটু ভারি হলে ভালো।
অনেকে মনে করে ব্যায়াম শুধু তাদের জন্য যারা ওজন কমাতে যায়। কিন্তু এ ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। যারা স্বাস্থ্য কমাতে চায় তাদের চেয়ে স্বাস্থ্য বাড়াতে চাওয়া লোকের ব্যায়াম করার প্রয়োজনীয়তা মোটেও কম নয়। তাই ওজন বাড়াতে চাইলেও প্রচুর ব্যায়াম করতে হবে।
মোটা হওয়ার উপায় হিসেবে ওজন বাড়ানোর জন্য জিমে যাওয়ার বিকল্প নেই। তবে মোটা হতে চাইলে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ ট্রেইনারের নির্দেশনা মাফিক ব্যায়াম করতে হবে।
ব্যায়াম করলে প্রচুর ক্ষুধা লাগে। এতে খাওয়ার চাহিদা বাড়বে। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে সুষম খাদ্য খেতে হবে। শরীর চর্চা করলে প্রচুর পানির পিপাসাও লাগে। সুতরাং ব্যায়ামের ফলে বেশি বেশি পানি খাওয়ার চাহিদাও সৃষ্টি হবে। নিয়মিত ব্যায়াম করলে টেনশন বা দুশ্চিন্তাও অনেকাংশে কমে যায়। আর দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত থাকতে পারলে শরীর-স্বাস্থ্য এমনিতেই ভালো থাকে। প্রয়োজন মতো এনার্জি ফুড খেতে হবে। প্রচুর পরিমাণে ফল খাওয়া যেতে পারে। এতে প্রচুর ক্যালরি পাওয়া যায়। এছাড়াও ফলের রস, জ্যাম, জেলি ইত্যাদিতে প্রচুর ফ্যাট থাকে যা আপনার শরীরকে মোটা হতে সাহায্য করবে।
তবে শুধু মোটা হলেই চলবে না। মোটা হবার সাথে সাথে সুগঠিত শরীরও গঠন করতে হবে। এইসব কিছু করার জন্য আপনাকে একটি সঠিক নির্দেশনা অনুসরণ করত হবে।