আস্ক প্রশ্নে আপনাকে স্বাগতম ! এটি একটি প্রশ্নোত্তর ভিত্তিক কমিউনিটি। এই সাইট সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন ...
540 বার প্রদর্শিত
"পড়াশোনা" বিভাগে করেছেন (29 পয়েন্ট) 69 175 181
আমার পড়ালেখায় মনোযোগ আসছে না। সারাদিন মোবাইল ও কম্পিউটার নিয়ে পরে থাকি। আর মনে চায় শুধু বন্ধুদের সাথে ক্রিকেট ও আড্ডা দিতে থাকি। এখন কীভাবে পড়ালেখায় মনোযোগ তৈরী করতে পারি?

3 উত্তর

0 পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন (8,268 পয়েন্ট) 98 604 689
আগে নিজেকে ভালোবাসতে হবে ! তবেই বড় হয়ে ভালো মানুষ হওয়ার ইচ্ছা জাগবে ! আর তখন স্বয়ংক্রিয়ভাবেই পড়াশোনায় পুরোপুরি মনোযোগ আসবে । কারণ পড়াশোনা না করে কেউ-ই জীবনে বড় কিংবা ভালো মানুষ হতে পারে না ! আর অবশ্যই ধর্মীয় রীতি-নীতিগুলো মেনে চলতে হবে।
আ ক ম আজাদ আস্ক প্রশ্ন ডটকমের সাথে আছেন সমন্বয়ক হিসাবে। বর্তমানে তিনি একজন শিক্ষক। আস্ক প্রশ্ন ডটকমকে বাছাই করে নিয়েছেন জ্ঞান আহরণ ও জ্ঞান বিতরণের মাধ্যম হিসাবে। ভবিষ্যতে একজন বক্তা ও লেখক হওয়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছেন। এই আশা পূর্ণতা পেতে সকলের নিকট দু'আপার্থী।
0 পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন (411 পয়েন্ট) 3 10 38
মনোযোগ/ আগ্রহ বাড়ানোঃ মনোযোগী হতে হলে আপনার আগ্রহ বাড়াতে হবে। তবে মনোযোগটা থাকতে হবে নিজের প্রতি এবং সময়ের প্রতি। যতক্ষণ পর্যন্ত না আপনার আগ্রহ বাড়ছে ততক্ষণ পর্যন্ত আপনি কখনোই মনোযোগী হতে পারবেন না। তাই প্রথমে অমনোযোগের কারণটি খুঁজে বের করুন। কোন সময়টাতে পড়তে বসলে আপনার মনোযোগ থাকেনা লক্ষ্য করুনl মনোযোগের জন্যে আপনি কোন ভঙ্গিতে বসছেন সেটিও গুরুত্বপূর্ণ। সোজা হয়ে আরামে বসুন। অপ্রয়োজনীয় নড়াচড়া বন্ধ করুন। চেয়ারে এমনভাবে বসুন যাতে পা মেঝেতে লেগে থাকে। টেবিলের দিকে একটু ঝুঁকে বসুন। আপনার চোখ থেকে টেবিলের দূরত্ব অন্তত দু ফুট হওয়া উচিৎ।
লক্ষ্যের প্রতি মনোযোগীঃ যদি কোনো কাজকে আপনি উপভোগ না করতে পারেন, তাহলে কোনোভাবেই কাজে মনোযোগী হওয়া সম্ভব নয়। যদি কোনো কাজ করার জন্য প্রচুর পরিশ্রম করেও হঠাৎ মাঝপথেই থেমে যান উক্ত কাজটি আপনার কোনোদিনই সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে না। তাই, নিজের লক্ষ্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। যদি লক্ষ্যের প্রতি মনোযোগী হওয়া যায়, তা হলে খুব সহজেই পাঠ্যবইয়ের প্রতিও মনোযোগ চলে আসে। কেননা লক্ষ্য পূরণের প্রথম ধাপই হচ্ছে পাঠ্যবই।
পড়ার পরিবেশঃ মূলত সম্পূর্ণ মনোযোগ দেয়ার জন্য একটি নির্দিষ্ট সুষ্ঠু সুন্দর পরিবেশ দরকার। কম্পিউটারে গান চলছে আর আপনি যদি পড়ার টেবিলে থাকেন তাহলে পাঠ্যবইয়ের প্রতি মনোনিবেশ করা সম্ভব নয়। আপনার পড়ার জন্য একটি টেবিল ও চেয়ার থাকা জরুরী। এই বস্তুগুলো এমন স্থানে সাজাতে হবে যেন আপনি আরামের সাথে বসতে পারেন। একটানা না পড়ে বিরতি দিয়ে পড়বেন। প্রতি ৫০ মিনিট পড়ার পর ৫ মিনিটের একটা ছোট্ট বিরতি নিতে পারেন। কিন্তু এ বিরতির সময় টিভি, মোবাইল বা কম্পিউটার নিয়ে ব্যস্ত হবেন না যা হয়তো ৫ মিনিটের নামে দুঘণ্টা নিয়ে নিতে পারে।
রুটিন পরিকল্পনাঃ সময়টাকে খুব গুরুত্ব দিন। মনে রাখবেন আপনার প্রতিটা দিন, প্রতিটা মুহূর্ত আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।তাই পড়াশোনার ব্যাপারেও একটি সুশৃঙ্খল তালিকা তৈরি করা যায়।এতে করে সময়ের সম্পর্কে আরো বেশি দায়িত্বশীল হওয়া যায়। অনেক সময় দেখা যায়, যে পড়াটা দিনে ১ ঘন্টায় পড়তে পারছেন সেই একই পড়া পড়তে রাতে দেড় ঘণ্টা লাগছে। তাই কঠিন, বিরক্তিকর ও একঘেয়ে বিষয়গুলো সকালের দিকেই পড়ুন। পছন্দের বিষয়গুলো পড়ুন পরের দিকে। পড়ার পাশাপাশি লেখার অভ্যাস খুবই জরুরি। তবে যদি উল্টোটা হয়, অর্থাৎ রাতে পড়তে আপনি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন, তাহলে সেভাবেই সাজান আপনার রুটিন।
খাওয়া-দাওয়াঃ পুষ্টিকর খাবার সময়মত খেতে হবে। আর পড়াশোনায় ব্যাস্ত থাকলে ক্ষুধা একটু বেশিই লাগে। তাই হাতের কাছেই কিছু শুঁকনো খাবার রাখুন এবং প্রচুর পরিমানে পানি পান করুন।
অন্যমনস্কতা/একঘেয়েমি থেকে বাঁচতেঃ পড়তে পড়তে মন যখন উদ্দেশ্যহীনতায় ভেসে বেড়াচ্ছে জোর করে তখন বইয়ের দিকে তাকিয়ে না থেকে দাঁড়িয়ে পড়ুন। তবে রুম ছেড়ে যাবেন না। কয়েকবার এ অভ্যাস করলেই দেখবেন আর অন্যমনস্ক হচ্ছেন না।এছাড়া একটানা একটা বিষয় পড়তে আপনি বিরক্ত হতে পারেন। তাই অন্য বিষয়গুলোর প্রতি নজর দিন। বিষয়টার সাথে আপনার সময়সীমা বেঁধে দিন।
বিশ্রামঃ সারাক্ষণ কাজ আমাদের মস্তিষ্ককে ক্লান্ত করে তোলে। ক্লান্তি মস্তিষ্কের কাজ করার ক্ষমতাকে কমিয়ে দেয়। তাই পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন। আপনাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অবশ্যই ৬-৮ ঘণ্টার কম কিংবা বেশি ঘুমনো যাবে না। এতে আপনার শরীরের ভারসাম্য কিঞ্চিৎ ব্যাঘাত ঘটতে পারে।
নিয়মিতঃ পড়াশোনায় নিয়মিত না হলে আপনার এর থেকে বিচ্ছুতি ঘটবে তাই নিয়মমাফিক পড়াশোনা করুন। আপনাকে অবশ্যই ‘কাল’ কথাটা ভুলে যেতে হবে। ‘আজ’ কথাটা সবসময় মাথায় রাখতে হবে। আপনি পড়াশোনা শুরু করবেন কাল নয়, আজকে এখনি শুরু করুন।
বুঝে পড়ুনঃ এ কবার পড়েই কোনো বিষয় মনে রাখা সহজ নয়। তাই যে কোনো বিষয় মুখস্থ করার আগে বিষয়টি কয়েকবার পড়ে বুঝে নিতে হবে। তাহলে সেটা মনে রাখা অনেক সহজ হবে।
ক্রোধঃ ক্রো ধ বা রাগ মন ও মস্তিষ্কের শত্রু। আমরা যখন রেগে যাই তখন শরীরে নিঃসৃত হয় বিশেষ এক ধরনের রাসায়নিক যৌগ যা আমাদের মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা কমিয়ে দেয়।
মেডিটেশনঃ নিয়ম করে দিনের কিছু সময় মেডিটেশন করুন। যোগ ব্যায়াম করতে পারেন। সম্ভব না হলে অন্তত সকাল-সন্ধ্যা খোলা ময়দানে হাঁটুন। এ অভ্যাসগুলো মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ায়। মস্তিষ্কের তথ্য ধারণ ক্ষমতা বাড়ায়। স্মরণশক্তি মূলত নির্ভর করে আমাদের চিন্তা করার ক্ষমতার ওপর। মেডিটেশন আমাদের চিন্তা করার ক্ষমতা বাড়ায়।
0 পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন (940 পয়েন্ট) 27 97 123
০১. মনস্থিরঃ
অমনোযোগীতা আনতে পারে এমন সব বিষয় মাথা
থেকে ঝেড়ে ফেলুন। আপনার পড়ার জন্য
প্রয়োজনীয় সবকিছু হাতের কাছেই রাখুন যাতে
বারবার উঠতে না হয়। অনেকের বারবার ফোন
আসে পড়ার সময়।খুব বেশি দরকার না হলে ফোন
বন্ধ করে রাখতে পারেন। পড়তে বসার অন্তত ৫
মিনিট আগ থেকে মনস্থির করুন।
০২. শিক্ষকতাঃ
আপনি যে বিষয় পড়বেন সেটা অন্য কাউকে শিক্ষা
দিন।এমন কাউকে যে সে বিষয়টা সম্পর্কে জানেনা।
শিক্ষকতা নিজের জ্ঞান আহরণের জন্য সবচেয়ে
উত্তম উপায়। যেমন- আপনি যদি গণিত কম
বোঝেন বা গণিত নিয়ে পড়তে চান ভবিষ্যতে
আপনার উচিত এখন থেকেই গনিতের উপর শিক্ষা
দান করা অন্যদের। এতে আপনার নিজেরও চর্চা
থাকবে বিষয়টির উপর।
০৩. ইন্দ্রিয় সক্রিয়ঃ
আপনার সব ইন্দ্রিয় সক্রিয় করুন। আপনি একটি
বিষয় যতই পড়ুন না কেন সারাদিন ততক্ষণ
পর্যন্ত আপনি তা মনে রাখতে পারবেন না অথবা
বুঝবেন না যতক্ষণ না আপনি বিষয়টি আপনার
চারপাশের কিছুর সাথে সম্পৃক্ত করতে পারছেন।
চারপাশের জিনিসের সাথে আপনি আহরণ করা জ্ঞান
মিলিয়ে নেয়ার চেষ্টা করুন।
০৪. সংযোগঃ
প্রত্যেকটি বিষয়, ধারণার মাঝে সংযোগ স্থাপন
করতে শিখুন। একটি আরেকটির সাথে সংযোগ
স্থাপনের মাধ্যমে আপনার নিজের জ্ঞানের
পরিধিও অনেক বাড়বে।
০৫. নতুন ধারণা ও পরিচিত ধারণার মাঝে
সংযোগঃ
আপনি যখন নতুন কোন বিষয় বা তথ্য সম্পর্কে
জানবেন তখন তা আপনার বর্তমানের পরিচিত
কোন জানা তথ্য বা ধারণার সাথে সম্পৃক্ত করার
চেষ্টা করুন। এতে পরীক্ষার সময় আপনার সে নতুন
তথ্য ভুলে যাবার আশঙ্কা কম থাকে।
০৬. মস্তিষ্কের উপর চাপ না দেয়াঃ
পরীক্ষার আগে কিছুদিন পড়লে আপনার মস্তিষ্কের
উপর চাপ পড়তে পারে। তাই সবসময় অল্প অল্প
পড়ার মাঝে থাকবেন। এতে করে আপনার উপর
কোন মানসিক চাপও থাকবেনা আর আপনি
পরীক্ষার আগে একটু রিভিশন দিলেই আপনার হয়ে
যাবে।
০৭. তথ্যের ধরনঃ
পড়ার সময় প্রত্যেকটি তথ্যের ধরন বোঝার
চেষ্টা করুন। যেমন- যে তথ্য দেয়া আছে সেটা কি
গাণিতিক তথ্য, নাকি ঐতিহাসিক কোন তথ্য, নাকি
কোন ব্যক্তি বা দেশ সম্পর্কে তথ্য এসব বিষয়ে
ভালো করে বুঝে তারপর মুখস্ত করতে হবে। না
বুঝে মুখস্ত করলে তা কোনদিন মনে থাকবেনা।
০৮. সুদৃঢ় জ্ঞানের ভিতঃ
সব সময় পুস্তকি বিদ্যার সাথে সম্পৃক্ত করলে
হবেনা। অন্যান্য বিভিন্ন বই থেকে আহরিত
জ্ঞানের সাথেও সম্পৃক্ত করতে হবে। সেজন্য দেশ
ও দেশের বাইরের অনেক লেখকের বই পড়ার অভ্যাস
সব সময় রাখতে হবে। এটা শুধু মাত্র বিনোদনের
জন্য নয়, বরং অনেক কিছু সম্পর্কে জ্ঞান আহরণ
করা যায় আর নিজের জ্ঞানের ভিত্তিটা অনেক
মজবুত ও শক্ত করে গড়ে তোলা যায় যাকে ভিত
হিসেবে ধরে আপনি আপনার জ্ঞানের পরিধি বাড়িয়ে
নিতে পারেন।
০৯. নিজস্ব রীতিঃ
যখন কোন বিষয় পড়বেন তখন নিজের একটা
আলাদা রীতি অনুসরণ করার চেষ্টা করুন আর
বিষয়টির একটি ছবি আপনার মনের মধ্যে এঁকে
নিন। এতে বিষয়টি আপনার খুব সহজেই মনে
থাকবে।
১০. নোটঃ
আপনার পড়ার মূল লক্ষ্য কিন্তু সেটাকে বুঝে
জ্ঞান আহরণ করা আর পরীক্ষায় ভালো করা।
কিন্তু আপনি যদি নাই বোঝেন তাহলে ভালো করার
প্রশ্নই আসেনা। তাই যে বিষয়টি বুঝবেন না তার
পেছনে একটু বেশি মনোযোগী হন। প্রয়োজনে
খাতায় লিখে, করে বোঝেন। কারণ না বুঝে মুখস্ত
করে সেটা বেশিক্ষণ মনে রাখা কোন ছাত্রের
পক্ষেই সম্ভব নয়।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

1 উত্তর
22 মার্চ 2018 "পড়াশোনা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Raju Ahamed (1,189 পয়েন্ট) 45 251 281

28,172 টি প্রশ্ন

29,716 টি উত্তর

3,148 টি মন্তব্য

3,975 জন সদস্য



আস্ক প্রশ্ন এমন একটি প্ল্যাটফর্ম, যেখানে কমিউনিটির এই প্ল্যাটফর্মের সদস্যের মাধ্যমে আপনার প্রশ্নের উত্তর বা সমস্যার সমাধান পেতে পারেন এবং আপনি অন্য জনের প্রশ্নের উত্তর বা সমস্যার সমাধান দিতে পারবেন। মূলত এটি বাংলা ভাষাভাষীদের জন্য একটি প্রশ্নোত্তর ভিত্তিক কমিউনিটি। বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার পাশাপাশি অনলাইনে উন্মুক্ত তথ্যভান্ডার গড়ে তোলা আমাদের লক্ষ্য।

শীর্ষ বিশেষ সদস্য

...